উদ্বোধনের তিন সপ্তাহ পরেও দমকল কেন্দ্র চালু হয়নি হলদিবাড়িতে। কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা পাকা না হওয়া এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণেই তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগে ৩৬ হাজার টাকা কে দেবে, তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ২০ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিবাড়ির এই দমকল কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছিলেন।
উদ্বোধনের পরে দমকল বিভাগ ও কোচবিহার জেলা পরিষদের কাজিয়া অব্যাহত। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, “মাস দেড়েক আগে ভবন তৈরি করে দায়িত্ব দমকল বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ-সহ অন্য ব্যবস্থা দমকলকেই করতে হবে।” দমকল বিভাগের জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের আধিকারিক সনৎ মণ্ডল বলেন, “এই পরিস্থিতির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |
হুজুর সাহেবের মেলা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক বৈঠকে দমকল দফতরের এক আধিকারিক হলদিবাড়ি গেলে, কবে কেন্দ্রটি চালু হবে তা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বলে জানা গিয়েছে। পুর চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “এটা দুঃখজনক ঘটনা যে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করার পরও কবে দমকল কেন্দ্রটি কাজ শুরু করবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। গত সপ্তাহে দফতরের এক আধিকারিককে সরকারি বৈঠকে প্রশ্ন করার পরেও উত্তর মেলেনি।” যদিও দমকল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংযোগ নিতে কী করণীয় তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ হলদিবাড়ির স্টেশন ম্যানেজার গুরুগোপাল দানা বলেন, “দমকল বিভাগ থেকে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে খরচ হবে ৩৬ হাজার টাকা।” জেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায় যে হলদিবাড়ি দমকল কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা নির্মাণ নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেগুলিও মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। জেলা পরিষদে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক চিরঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, “দমকল কেন্দ্রর সামনের রাস্তাটি এখন কাঁচা রয়েছে। ওরা নিজেরাও রাস্তা পাকা করে নিতে পারে, আবার বরাদ্দ টাকা দিয়ে দিলে আমরাও সেই কাজ করতে পারি।”
প্রশাসনিক জটিলতা কেটে গিয়ে কবে দমকল কেন্দ্র চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কবে কাটবে আপাতত তার অপেক্ষায় হলদিবাড়ির বাসিন্দারা। |