তিন বছর আগেই রাস্তার পিচের চাদর উঠেছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরে কুশমন্ডি মোড় থেকে উষাহরণ ভায়া মহিষবাথান মাত্র ৫ কিলোমিটার ওই বেহাল রাস্তা ধরেই এলাকার ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের নিত্য দুর্ভোগের যাতায়াত।
অথচ জেলার হস্ত-শিল্পের তালুক হিসাবে সরকারি ভাবে মহিষবাথানকে তুলে ধরা হচ্ছে। মাত্র ৫ কিলোমিটার ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে পর্যটক ও যাত্রীদের ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যাচ্ছে। পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই বেহাল রাস্তা-ই এলাকার ৩টি হাই স্কুল আর ৪০টি প্রাথমিক স্কুল ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়া থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের চলাচলের ভরসা। ওই পথে ধীর গতিতে গাড়ি চলার সুযোগ নিয়ে দু’মাসে ৪টি ছিনতাই হয়। বাসিন্দারা জানান, জেলা পরিষদের অধীন ওই রাস্তা সারানোর জন্য এলাকাবাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি ও অনুরোধ করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। বিডিও ওয়ানডি গ্যালপো ভুটিয়া বলেন, “আমরা রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছি। রাস্তার কথা বিবেচনা করে তা সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়।” তবে কুশমন্ডির আরএসপি বিধায়ক নর্মদা রায় বলেন, “রাস্তা মেরামতির জন্য বহু বার জেলা স্তরের সভায় বলা হয়েছিল। কোনও লাভ হয়নি।” |
বাম আমলে জেলা পরিষদ থেকে পাঁচ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। ওই রাস্তা উপর নির্ভর করে কুশমন্ডি ব্লকের দেউল, বেরইল, ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ। এলাকার অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে কুশমন্ডি সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। করচা, সরলা, খাগাইল-এর ৩টি হাই স্কুল-সহ প্রাথমিক, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়া ও শিক্ষক থেকে পণ্য বেচতে আসা চাষিদের এই পথেই যাতায়াত করতে হয়। জেলার মোখা শিল্পের গর্ব মহিষবাথান এলাকায় পৌঁছতে এ রাস্তাই ভরসা। তৃণমূলের নেতা শঙ্কর পুততুন্ড অভিযোগ করেছেন, ওই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ পাকা রাস্তা বেহাল হয়ে থাকলেও সে সমস্ত মেরামত করতে উদ্যোগী হয়নি তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ। প্রায় তিন বছর ধরে রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। রাস্তা সংস্কারের জন্য বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ উদ্যোগী হয়েছে। জেলাপরিষদ সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা এই প্রসঙ্গে বলেন, “শীঘ্র যাতে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়, তা দেখা হচ্ছে।” |