ডাম্পিং গ্রাউন্ড এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের সার তৈরির প্ল্যান্ট বসানো নিয়ে তাঁদের আপত্তি কথা আলিপুরদুয়ার পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। রবিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারে পুরসভার এক প্রতিনিধি দল মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁটিমারি এলাকায় ওই প্রকল্প নিয়ে প্রধান-সহ গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় পুরসভার কর্তারা গ্রামবাসীকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলেও বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, “এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে আগামী দিনে ফের এই নিয় আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি, বিকল্প জায়গা খোঁজা হচ্ছে।” তিনি জানিয়েছেন, শহরের ৪ ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। বর্ষাকালে এলাকায় দুর্গন্ধ এবং মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ে। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। |
পুর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুঁটিমারির বাসিন্দাদের আলোচনা। ছবি: নারায়ণ দে। |
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গদাধর নদীর পাশের পুরসভা বছর কয়েক আগে ২১ বিঘা জমি কিনেছিল। ঠিক হয়েছিল, সেখানে সলিডওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্ল্যান্ট বসিয়ে শহরের আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সার তৈরি হবে। কিন্তু এলাকায় ময়লা ফেলা নিয়েই প্রথম থেকে বিরোধিতা করছিলেন এলাকাবাসীরা। এলাকায় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের ছাড়পত্র দেয়নি। এর আগে শহরের আবর্জনা কালজানি নদীর চরে ফেলা হত।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ প্রেমীরা আপত্তি জানানোয় ২০১২ সালে কয়েক দিন শহরের নোংরা-আবর্জনা তোলার কাজ বন্ধ রেখেছিল পুরসভা। তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান পরে সর্বদল বৈঠক করে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ময়লা ফেলার কাজ শুরু করেছিলেন। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে চেয়েই এ দিন পুরসভা নিজের কেনা জমি এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে এক বৈঠক ডাকে। এলাকার সিপিএমের প্রধান অবনী কুমার বিশ্বাস এ দিন বৈঠকের পরে বলেন, “গ্রামবাসীরা রাজি না হলে আমরা পুরসভাকে এই প্রকল্পের জন্য ছাড়পত্র দিতে পারি না।” এলাকার বাসিন্দা কামিনী অধিকারী জানান, ওই প্ল্যান্ট বসলে এলাকায় দূষণ ছড়াবে। পাশাপাশি, সবসময় নোংরা আবর্জনা এলাকায় ফেলায় পরিবেশ দূষিত তো হবেই, নদীর জলেও সে সব নোংরা মিশবে। স্থানীয় তাপস বক্সি, নিরঞ্জন মাহাতোরা জানান, প্রতি বছর বর্ষায় নদীর জল প্লাবিত হয়ে ঘরে ঢোকে। মাটির বাঁধ জল আটকাতে পারে না। এখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলে সমস্ত আবর্জনা বাড়িতে ঢুকবে। তাই তাঁরা চাই না এলাকায় ওই প্রকল্প হোক। |