|
|
|
|
সিপিএম কর্মীদের হুমকি, নালিশ ডেবরায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
জামিনপ্রাপ্ত ডেবরার সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা এলাকায় অশান্তি ছড়াতে চাইছে।
গত ৬ ডিসেম্বর ডেবরার চকবাজিত গ্রামে সিপিএম -তৃণমূল সংঘর্ষের পর সিপিএমের জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল -সহ ৪৭ জন গ্রেফতার হন। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় তাদের মধ্যে একজন ছাড়া সকলেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ডেবরার লোয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাজিত গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৬ ডিসেম্বর। সিপিএম -তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য বিবেক মুখোপাধ্যায় -সহ তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা -কর্মী আহত হন। কলকাতার হাসপাতালে ৫৮ দিন চিকিত্সার পর ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফিরেছেন বিবেকবাবু।
সিপিএমের অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফেরা দলীয় কর্মীদের চাষে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের মিছিলে যেতেও চাপ দেওয়া হচ্ছে তাদের। চকবাজিত সিপিএম লোকাল কমিটির সম্পাদক রবীন দত্তের দাদা স্কুল শিক্ষক দেবেন্দ্রনাথ দত্তকে স্কুলে যাওয়া -আসার পথে বাধা দেওয়া এবং মুচলেকা ছাড়া এলাকায় না ঢোকার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। দেবেন্দ্রনাথবাবু সেই কথা লিখিতভাবে পুলিশে জানিয়েছেন। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলের অভিযোগ, “১৯৭৭ সাল থেকে ওই এলাকায় দলের প্রভাব রয়েছে। ডেবরার ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের জেলে ঢোকানো হয়েছিল। এখন দলীয় কর্মীরা জামিন পাওয়ায় তা মেনে নিতে পারছে না শাসক দল। তাই এলাকায় ঢুকলে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া তৃণমূল দলীয় কর্মীদের কাজে বাধা থেকে বাড়ি ঢুকতে হুমকিও দিচ্ছে।”
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের জেলবন্দিরা জামিনে ছাড়া পেয়েই এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে ডেবরার ঘটনার মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের গোটগেরিয়া গ্রামের হেমলতা মাউলি থানায় এনিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডেবরা তৃণমূল ব্লক সভাপতি রতন দে -র দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিপিএম কর্মীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সহানুভূতি কুড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। আইন আইনের পথে চলবে। তাই দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছি।”
ডেবরা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় অশান্তি রুখতে আগে থেকেই পুলিশ পিকেট রয়েছে। এখন পুলিশি টহলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। উভয়পক্ষকেই সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|