|
|
|
|
নিশ্চিন্তে সন্তান বাড়ান, প্রচার মেঘালয়ে |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
৯ ফেব্রুয়ারি |
খাবার জোগান দেবে ইউপিএ সরকার, তা-ই নিশ্চিন্তে পরিবারের সদস্য বাড়ানমেঘালয়ের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় এমনই ভোট-প্রচার চালাচ্ছেন সে রাজ্যের এক মন্ত্রী।
স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ নির্বাচনের আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘খাদ্য সুরক্ষা আইন’কে সামনে রেখে উপজাতি ভোটারদের মন জিততে চাইছেন মেঘালয়ের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং। স্থানীয় সূত্রের খবর, খাসি পাহাড়ের গ্রামে-গ্রামে বনমন্ত্রী বলছেন, “ইউপিএ সরকার পরিবারের সব সদস্যের জন্য মাত্র ৩ টাকা দরে মাসে ৫ কিলোগ্রাম চাল দেবে। তা-ই নিশ্চিন্তে আরও সন্তানের জন্ম দিন। আমরা তো খাবার জোগান দেওয়ার জন্য রইলামই।”
উপজাতি এলাকায় এমনিতেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফল করা কষ্টসাধ্য। সেখানে খোদ মন্ত্রী সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দিলে তো ‘সোনায় সোহাগা’। কেবল টিংসং নন, খাসি হিল স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনিবাহী সদস্য থাকাকালীন কংগ্রেস নেতা এইচ এস সিলা রীতিমতো অনুষ্ঠান করে ‘সব চেয়ে উৎপাদনশীল’ পরিবারগুলিকে পুরস্কার দিয়েছিলেন।
কাল মাওকিনরিউ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী বান্টেইডোর লিংডোর পক্ষে প্রচার করতে গিয়ে টিংসং বলেন, “২০১২-১৩ সালের সুমারি অনুযায়ী রাজ্যের জনসংখ্যা সাড়ে ২৯ লক্ষ। খাদ্য সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে তার মধ্যে ২১ লক্ষ মানুষের খাবার নিশ্চিত করেছি। আপনারা নিশ্চিন্তে উৎপাদনে (সন্তান) মন দিন।” বলাই বাহুল্য সন্তান-সংখ্যায় গর্ব অনুভব করা গ্রামবাসীরা এ হেন প্রস্তাবে বেজায় হাততালি দেন। সভায় হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী ডি ডি লাপাং’ও।
দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লড়াই, সেখানে ভোট-রাজনীতির জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেওয়া কি ঠিক?
টিংসং বলছেন, “দেশের সরকার যদি খাবার জোগান দিতে সক্ষম হয়, তবে দেশবাসী কেন নিজের ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করবেন না?” |
|
|
|
|
|