একেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।
টাকাও খরচ হবে না। আবার, চাহিদা অনুযায়ী জোগানও দেওয়া সম্ভব হবে।
এলাকার চারটি প্রান্তে তথ্য জানাতে রয়েছে কিয়স্ক। নিরাপত্তারক্ষী রাখার ব্যয় থেকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যাচ্ছিল বেড়ে। আবার এলাকায় বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের সে অর্থে তেমন ব্যবস্থা ছিল না। একই সঙ্গে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চটজলদি মেলে না অ্যাম্বুল্যান্স।
সব ক’টি সমস্যার সমাধানও হল, অথচ খরচ তেমন হল না। এমনই উপায় করেছেন বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
রাতদিন বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ। কিন্তু কাছাকাছি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করার জায়গা নেই। এ সমস্যা জন্মলগ্ন থেকেই ছিল। সেই সমস্যা কাটাতে বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টরের চারটি জায়গায় বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করার কাউন্টার রাখার পরিকল্পনা করেছেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
এখানেই অবশ্য পরিকল্পনার শেষ নয়। ওই সব কাউন্টারের সঙ্গে থাকছে একটি টেলিফোন এবং একটি নির্দিষ্ট নম্বর। ওই নম্বরে ফোন করলে সেই কাউন্টারে দ্রুত চলে যাবে অ্যাম্বুল্যান্স। এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চটজলদি এই পরিষেবা দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। |
বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের জন্য এত দিন পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে বিধাননগরের করুণাময়ী মোড়ে আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস পর্যন্ত যেতে হত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের। এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুমন গুহ বলেন, “পাঁচ নম্বর সেক্টরে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের জায়গা থাকলে খুবই উপকৃত হবেন কর্মীরা। কাছাকাছি তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে এমন ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।”
কিন্তু কোথায় করা যাবে এই ব্যবস্থা? জায়গা খুঁজতে গিয়ে তথ্য-কিয়স্ক বিবেচনায় আসে নবদিগন্তের কর্তাদের। পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন তথ্য যাতে সাধারণ মানুষ হাতের নাগালে পান, সে জন্যই দেড় বছর আগে চারটি জায়গায় ওই কিয়স্ক করা হয়েছিল। সেখানে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবস্থা হলে আখেরে ওই কিয়স্ক আরও কার্যকর হবে বলেই মনে করেন নবদিগন্তের কর্তারা।
কিন্তু কী ভাবে বিনা ব্যয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে? নবদিগন্তের এক কর্তা জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদিত একটি সংস্থা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা ওই তথ্য-কিয়স্ক ব্যবহার করবেন। সেখানে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখবেন তাঁরা। বদলে কিয়স্কের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বহন করবেন।
পাশাপাশি, পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছেন। ওই তথ্য কিয়স্কে একটি পৃথক টেলিফোন রাখা থাকবে এবং একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরও দেওয়া থাকবে। সে নম্বরে ফোন করলে ওই কাউন্টারে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে যাবে। |