জেলার সীমানা এলাকা ডিসেরগড়ে দামোদরের পাড়ে মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ছিন্নমস্তা মেলা। সাত দিনের মেলা শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি মেলার সূচনা করেন ইসিএলের ডিরেক্টর (পার্সোনেল) এস পাত্র। তার পরে বরাকরের দুই শিল্পী সুমনা ও সুজিত লায়েক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় দিন ছিল অঞ্জন উপাধ্যায় ও সম্প্রদায়ের পালাকীর্তন। তৃতীয় দিন কলকাতার দলের যাত্রা, চতুর্থ দিন বাউলগান মন ভরিয়েছে মানুষের বন্দী। রবিবার যাত্রা করেন কলকাতা থেকে আসা শিল্পীরা। সোমবার মনোময় ভট্টাচার্যের সঙ্গীত এবং শেষ দিন মঙ্গলবার আবার যাত্রাপালার আয়োজন রয়েছে। দামোদরের ওপারে পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আসছেন এই মেলায়। |
বরাকরের সুজিত লায়েক, কুলটির নীতিশ চৌধুরী, পুরুলিয়ার শিক্ষিকা অপর্ণা দেওঘরিয়ারা জানান, এই মেলা দুই জেলার মানুষের কাছে লোকসংস্কৃতি উত্সবে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুপুরে বহু মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। মেলা কমিটির সভাপতি নন্দদুলাল আচার্য জানান, ১৯৮৪ সালে দামোদরের তীরে ছিন্নমস্তা মন্দির তৈরি হয় প্রাক্তন বিধায়ক, সাঁকতোড়িয়ার বাসিন্দা মানিকলাল আচার্যের উদ্যোগে। সে বছর থেকেই ছিন্নমস্তা কালী মন্দির সেবা সমিতি সাত দিনের মেলার আয়োজন করে। ধীরে ধীরে এই মন্দিরের পাশে নির্মিত হয় বিশ্বনাথ, বৈদ্যনাথ, রাধাকৃষ্ণ, গণপতি, পার্বতী ও শনি মন্দির। সূর্য মন্দির নির্মাণ চলছে। নন্দদুলাল বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা এবং চাহিদা থেকেই এই মহাশ্মশান এখন তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।”
আসানসোল রবীন্দ্রভবনে তিন দিনের বঙ্গ সংস্কৃতি মেলা শেষ হল রবিবার। শুক্রবার উত্সবের সূচনা হয়। ছৌনৃত্য, সঙ্গীতানুষ্ঠান-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল এই ক’দিন। আয়োজক সংস্থার সভাপতি প্রতিভারঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানান, ভাষা শহিদ স্মারক সমিতির আসানসোল শাখার উদ্যোগে এই মেলা ১৩ বছর অতিক্রান্ত হল। |