পানাগড় সেনা ছাউনির অ্যামুনিশন ডিপোকে ফিল্ড অ্যামুনিশন ডিপোয় রূপান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা দফতর। এর ফলে ডিপোয় সিভিলিয়ান কর্মীর সংখ্যা কমবে। বাড়বে সেনাকর্মীর সংখ্যা। এমন সিদ্ধান্তে সিভিলিয়ান কর্মীরা শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার হারাবেন, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার সুযোগ থাকবে না, এই দাবি তুলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সাইদুল হক।
পানাগড় সেনা ছাউনি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানকার অ্যামুনিশন ডিপোয় ৩৩ শতাংশ সেনাকর্মী এবং ৬৭ শতাংশ সিভিলিয়ান কর্মী। কিন্তু তা ফিল্ড ডিপো করা হলে এই সংখ্যা উল্টে যাবে। সিটু প্রভাবিত অ্যামুনিশন ডিপো সিভিলিয়ান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দাবি, তার ফলে স্থানীয়দের নিযোগও কমে যাবে। ইউনিয়নের সেক্রেটারি ডি কে বেরার দাবি, এর ফলে দফতরের খরচও বাড়বে। কারণ, একজন সেনা কর্মীর জন্য সরকারের যা বাজেট, তাতে দু’জন সিভিলিয়ান কর্মী রাখা সম্ভব। স্টোর কিপার, ক্লার্ক, ম্যাসেঞ্জার প্রভৃতি সাধারণ পদে সেনাকর্মী রাখার যৌক্তিকতা নেই বলে তাঁর দাবি।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিবকে পাঠানো চিঠিতে ডি কে বেরা আরও অভিযোগ করেছেন, সিভিলিয়ান কর্মীদের বিশ্রাম ঘর, পোশাক পরিবর্তনের ঘর, শৌচাগারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই এখানে। সিভিল কর্মীদের জন্য চিকিৎসার সুযোগ নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, আগাম ঘোষণা ছাড়া তাঁদের সংগঠনের ব্যবহৃত ঘরটি স্টোর রুমে পরিণত করা হয়েছে। সাংসদ সাইদুল হক বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ৬৭ শতাংশ আনুপাতিক হার বজায় রাখতে মাঝে মাঝেই প্রতিরক্ষা দফতর সিভিলিয়ান কর্মী নিয়োগ করে থাকে। ফলে স্থানীয় লোকজন কর্মসংস্থানের সুযোগ পান। কিন্তু নতুন নিয়মে সে সুযোগ থাকবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে লেখা চিঠিতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি।” ডিপোর এক কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ সব ব্যাপারে যা জানানোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রকের কাছেই জানাবেন। অন্য কাউকে জানানোর এক্তিয়ার তাঁর নেই। |