একই মঞ্চে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই নেতা। এক জন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। অন্য জন, সাংসদ সোমেন মিত্র।
দু’জনকে নিয়েই রাজনীতিতে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। বহু বার দলের নেতৃত্বের অস্বস্তির কারণ হয়েছেন রেজ্জাক। সোমেনবাবুর ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে টালবাহানা চলেছে। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে সোমেনবাবু ফেরেন কংগ্রেসেই।
শনিবার বিকেলে আমডাঙার সাধনপুর স্কুলমাঠে সংখ্যালঘুদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কনভেনশনের ডাক দেয় ‘আল্লামা রহুল আমিন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন। সেখানেই দুই নেতা। সভায় সংখ্যালঘু নেতৃত্বের অনেকে নানা বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। সংগঠকেরা জানান, কনভেনশনে সব দলের প্রতিনিধিদেরই ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। |
মুখোমুখি সোমেন মিত্র এবং রেজ্জাক মোল্লা। শনিবার। ছবি: সুদীপ ঘোষ। |
এ প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পরে বলেন, “ওঁরা এ সব কাণ্ড করে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছেন। সাধারণ মানুষ এটা ভাল চোখে নেবে না।”
অনুষ্ঠানে রেজ্জাক স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বলেন, “আমাদের দলের কিছু উন্নাসিক, মাতব্বর নেতা সাচার কমিটির রিপোর্ট না মানায় মুসলিমদের এই হাল।” সোমেনবাবুকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আহ্বান, “ওঁরা যদি আমাদের (সংখ্যালঘু) সঙ্গে থাকেন, তা হলে ধর্মনিরপেক্ষ জোট হবে।” ধর্মীয় সংগঠনের মঞ্চে বামপন্থী নেতা রেজ্জাকের উপস্থিতি নিয়ে সভা শেষে তিনি বলেন, “দল যা পারে ব্যবস্থা নিক। এই কারণেই তো আমি দলের মিটিং-মিছিলে থাকি না।”
সোমেনবাবু বলেন, “সংখ্যালঘু নেতারাই সংখ্যালঘুদের অনুন্নয়নের জন্য দায়ী। এঁরা ভোটে জেতার পরে দলের কথাই বলতে থাকেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আমি সংখ্যালঘুদের ন্যায্য লড়াইয়ের পাশে আছি।” |