|
|
|
|
ভোটের দিন হজে, বহিষ্কৃত বিধায়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর ও গুয়াহাটি
৮ ফেব্রুয়ারি
|
রাজ্যসভা ভোটের দিন ঘোষণার পর হজে তীর্থ করতে যান এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া। সময়মতো দেশে না-ফেরায় নির্বাচনে গরহাজির ছিলেন তিনি। এতে তুমুল ক্ষোভ ছড়াল তাঁর নিজের কেন্দ্র কাটিগড়া-সহ বরাকের অনেক জায়গায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জায়গায়-জায়গায় তাঁর কুশপুতুল পুড়ছে। আন্দোলনে সামিল হয়েছে এআইইউডিএফ কর্মী-সদস্যরাই।
দলের সভাপতি সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল আজ জানান, ওই বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দিকে, ‘ভুল’ করে অন্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অসমবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেও, বিধায়ক পদ্ম হাজরিকাকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করল অসম গণ পরিষদ। দলের সাধারণ সম্পাদক দুর্গাদাস বড়োর মতে, ৮ বার রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর, প্রবীণ ওই বিধায়কের ভুল ভাবে ভোট দেওয়া ও ভোট বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। পদ্ম ইচ্ছাকৃত ভাবে কংগ্রেস ও বহিরাগত প্রার্থী সঞ্জয় সিংহকে জিততে সাহায্য করে অসমবাসী ও দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পদ্ম বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ভোট বাতিল করাইনি। তবে ব্যালটে ভুল ভোট দেওয়ার দায়িত্ব আমারই। আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।” |
|
বিধায়ক কেনাবেচার প্রতিবাদে দিসপুরে সচিবালয়ের সামনে প্রতিবাদ। ছবি: উজ্জ্বল দেব। |
বরাকে অভিযোগ ওঠে, কংগ্রেসের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে ভোটের তারিখ ঘোষণার পর হজে যান মাঝারভুইয়া। ভোটে হাজির থাকার জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল বিমানের টিকিট পাঠালেও, এক প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই বিধায়ক জানান, তাঁর পাসপোর্ট পর্যটন সংস্থার কাছে রয়েছে। তা-ই ফিরতে পারবেন না। বিধায়কের পরিবার সূত্রের খবর, কাল তিনি বাড়ি ফিরতে পারেন।
বদরুদ্দিন বলেছেন, “ভোটের আগে তাঁকে হজে যেতে নিষেধ করেছিলাম। তিনি তা মানেননি। বলে গিয়েছিলেন, দল ডাকলেই চলে আসবেন। টিকিট পাঠানোর পরও অজুহাত দেখিয়েছেন। রফা হয়ে গিয়েছিল হজে যাওয়ার আগেই।”
‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ বিক্রির অভিযোগে গতকাল শিলচরের বেরেঙ্গায় বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। সংগ্রাম সমিতির সদস্যরা মাঝারভুইয়ার বিরুদ্ধে মোটা টাকায় নিজেকে বিক্রির অভিযোগ তোলেন।
২০১০ সালে বিরোধী দলগুলির যৌথ প্রার্থীর নিশ্চিত জয় ঠেকাতে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দেন বিজেপি-র চার বিধায়ক রুমি নাথ, কার্তিকসেনা সিংহ, শম্ভু সিংহ মালা ও অভিজিৎ হাজরিকা ও এআইইউডিএফ বিধায়ক আনোয়ার উল হক। রাখঢাক না-করে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। এ বার উপত্যকার ১৫টি আসনের মধ্যে আতাউরই ছিলেন একমাত্র বিরোধী বিধায়ক। রুমিদের মতো সরাসরি কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট না-দিলেও, ‘ঘোড়া কেনাবেচা’য় জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধেও। |
|
|
|
|
|