|
|
|
|
ভারতে কারখানা খুলছে কালাশনিকভ |
নিজস্ব প্রতিবেদন
৮ ফেব্রুয়ারি
|
ভারতে অস্ত্র কারখানা তৈরি করতে চায় একে-৪৭ (অ্যাসল্ট কালাশনিকভ) রাইফেলের নির্মাতা কালাশনিকভ কনসার্ন। রুশ অস্ত্রের বৃহত্তম আমদানিকারক ভারতকে ভাল বাজার বলে মনে করছে তারা।
রুশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী মিখাইল কালাশনিকভের তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল বিশ্বের জনপ্রিয় অস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। হালকা কিন্তু কালান্তক অস্ত্র হিসেবে কেবল সেনা বা নিরাপত্তাবাহিনী নয়, জঙ্গিদেরও খুবই প্রিয় এই অস্ত্র। গত ডিসেম্বরে ৯৪ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে তাঁর তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেখে যান মিখাইল কালাশনিকভ।
সাইবেরিয়ার ইজভেস্ক শহরে সদর দফতর কালাশনিকভ কনসার্নের। ওই সংস্থার বেশির ভাগ শেয়ার রয়েছে রুশ সরকারি সংস্থা রোসটেকের হাতে। কালাশনিকভ কনসার্ন জানিয়েছে, তারা ভারতে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিতে কারখানা খুলতে চায়। অংশীদার সংস্থা কে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রতি বছরে ভারতের কারখানা থেকে ৫০ হাজার অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কালাশনিকভের। কারখানায় বিনিয়োগ ধরা হয় ২ কোটি ডলার।
সংস্থার সিইও ও শেয়ার-হোল্ডার আলেক্সেই ক্রিভোরুচকোর কথায়, “ভারত খুব আকর্ষণীয় বাজার। সেখানে ঢোকার সব চেয়ে ভাল পথ হল কারখানা তৈরি। চলতি বছরেই আমরা উৎপাদন শুরু করব।”
ভারতীয় সেনার হাতে রাশিয়ায় তৈরি অ্যাসল্ট কালাশনিকভ আসেনি। ১৯৮০-এর দশকে কাশ্মীর, পঞ্জাব ও শ্রীলঙ্কায় জঙ্গিদের সঙ্গে মোকাবিলার সময়ে এ কে রাইফেলের উপযোগিতা বুঝতে পারে সেনা। কিন্তু রাশিয়ার বদলে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ার মতো দেশ থেকে আরও সস্তায় এ কে রাইফেল আমদানি করেছিল ভারত। রাশিয়া এ কে রাইফেলের পেটেন্ট নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি। ফলে, অনেক দেশই রুশ এ কে-র অনুকরণে রাইফেল তৈরি করত। ২০০৪ সালে ভারতে এসে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের তৈরি ‘এ কে-৭’ রাইফেল দেখে চমকে যান কালাশনিকভও। |
|
|
|
|
|