ভর সন্ধ্যায় এক যুবকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন এক তরুণী। শুধু তাই নয়, তাঁর স্বামী অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ কিয়স্কে নিয়ে গেলেও কর্তব্যরত পুলিশকর্মী সহযোগিতা করেননি বলেই ওই তরুণীর নালিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইএম বাইপাস-পার্ক সার্কাস কানেক্টরে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ রহমান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ি হাওড়ার আমতায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেলে স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণী ট্যাংরার চায়না টাউনে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে ওই তরুণীর অভিযোগ, চায়না টাউন থেকে ফেরার সময় এক যুবক ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন। এর পর তরুণীর স্বামী ওই যুবককে পাকড়াও করে স্থানীয় পুলিশ কিয়স্কে নিয়ে যান। ওই তরুণীর অভিযোগ, কিয়স্কে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। শ্লীলতাহানির ঘটনার পাশাপাশি এ নিয়েও
তপসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ ওই তরুণী জানাননি।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, ওই দম্পতি এক যুবককে পাকড়াও করে আনছেন দেখে কিয়স্কের কর্তব্যরত কর্মী নিজেই এগিয়ে যান। কিন্তু ওই দম্পতি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁর কাজে বাধাও দেন। এ নিয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই পুলিশকর্মী। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ-ইস্ট) দেবব্রত দাস বলেন, “ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অভিযুক্ত যুবক শেখ রহমানও অবশ্য শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে মা-বাবা অসুস্থ। তাই তপসিয়া এলাকার কর্মস্থল থেকে ছুটির পরে বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল। তড়িঘড়ি রাস্তা পেরোনোর সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে ওই তরুণীর গায়ে ধাক্কা লাগে তাঁর। কিন্তু তার পরে তাঁকে পাকড়াও করে তরুণীর স্বামী ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে দেন বলেও অভিযোগ করেছেন রহমান। তাঁর ঠোঁটে আঘাতের চিহ্নও পেয়েছে পুলিশ। তবে মারধরের ঘটনা নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাননি তিনি। |