জমির সর্ষে কাটা নিয়ে দুই পরিবারে সর্ংঘষে এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম পাঁচ জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে হবিবপুর থানার জাজইলের দাউদপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম তাই মুর্মু (৪০)। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জমির দখল নিয়ে পারিবারিক গোলামালে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে ৫ জন। তবে এখনও কোনও পক্ষ থানায় কোনও রকম অভিযোগ জানায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”
পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, দাউদপুর চার শতক জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে তাই মর্মুর সঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই প্রদীপ মুর্মুর বিবাদ চলছিল। তাই ও প্রদীপের বাড়ি পাশাপশি। দুই মাস আগে তাই মুর্মু ওই চার শতক জমিতে সর্ষে লাগান। তার পরে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ তাই মুর্মু ও তার ভাইয়েরা তা কাটতে ওই জমিতে নামেন। সেই সময়ে প্রদীপ মুর্মু ও তাঁর ভাইয়েরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এর পরে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ করে হাঁসুয়া, লাঠি চালাতে থাকে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ছয় জন জখম হন। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরাই জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ দিকে হাঁসুয়ার কোপে জখমদের হাপাতালে আনার পথে তাই মুর্মু মারা যায়। জখম প্রদীপ মুর্মু হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বলেন, “ওই জমি আমার বাবার। খুড়তুতো ভাই তাই মুর্মু জোর করে জমিতে সর্ষে লাগিয়েছিল। আমি ওকে বলেছিলাম জমির ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কেউ জমির সর্ষে কাটবে না। এ দিন তাতে বাধা দিতে গেলে ওরা চড়াও হয়।” নিহত তাই মুর্মুর ভাই জখম তপন মুর্মু বলেন, প্রদীপ মুর্মুরাই দাদার উপর হাঁসুয়া, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। ওরাই দাদাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। ওই জমি ওরা জোর করে দখল করতে চাইছে।” |