সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন দক্ষিণ দিনাজপুর অতিকায় তরুণী সিদ্দিকা পারভিন। দিল্লির এইমস হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর দু’মাস চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পর গত বুধবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়িতে সিদ্দিকাকে নিয়ে তাঁর বাবা আফাজুদ্দিন এবং মামা মোক্তারুল ইসলাম ফিরে আসেন। তারপর থেকে এলাকায় খুশির হাওয়া। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে মেয়েকে ফিরে পেয়ে এদিন সিদ্দিকার গোটা পরিবার জেলা ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সহায়তা-উদ্যোগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সিদ্দিকার বাবা আফাজউদ্দিন বলেন, “প্রদেশ নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব পাশে না দাঁড়ালে মেয়েকে কোনও দিনও ওই জটিল রোগ থেকে সারিয়ে আনতে পারতাম না। অস্ত্রোপচার সফল হয়। ওর ২০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠছে।” বাড়ি ফিরে খুশি সিদ্দিকাও। তিনি বলেন, “শরীরটা হালকা লাগছে। ওমপ্রকাশবাবুদের জন্য ভাল হতে পারলাম। ডাক্তারবাবুরা বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।”
প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশবাবু বলেন, “সিদ্দিকা সুস্থ হয়ে ওঠায় ভাল লাগছে। তিন মাস পর এইমসে পরীক্ষার জন্য ওকে যেতে হবে। যাবতীয় ওষুধ ওঁকে দিল্লি থেকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছ’মাস পর এইমসে সিদ্দিকার হাড়ের অস্ত্রোপচার হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।” নিউরো সার্জেন আশিস সুরির নেতৃত্বে গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮-৫০ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা এইমসে সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার অস্ত্রোপচার হয়। আমেরিকা থেকে দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও এসেছিলেন। এ জন্য এইমস কর্তৃপক্ষ মোট ৩১ জনের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন বলে চিকিৎসক সুরি জানিয়েছেন। তিনি জানান, “অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। পুরো অস্ত্রোপচারটি ভিডিও করে রাখা হয়েছে।” সিদ্দিকার সঙ্গে এমইসে দেখা করতে যান দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। তিনি সিদ্দিকাকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ওমপ্রকাশবাবুও দিল্লি গিয়ে সিদ্দিকার খোঁজ নেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের উদ্যোগে গত বছর ১০ নভেম্বর এজেলার বংশীহারি থানার শ্রীরামপুর গ্রামের অসুস্হ তরুণী সিদ্দিকা পারভিনকে নিয়ে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার জন্য রওনা হন তাঁর বাবা ও মামা। ১৩ নভেম্বর সিদ্দিকাকে এমইসে ভর্তি করান ওমপ্রকাশবাবু। তিনিই দিল্লির একটি গেস্টহাউসে দুমাস সিদ্দিকার বাবা ও মামার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। |