রিকশা ভ্যানে করে এক গুদাম থেকে অন্য গুদামে নিয়ে যাওয়ার সময় পাতা চুরির অভিযোগ তুলেছে শিলিগুড়ি রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অভিযোগ, রিকশা ভ্যান চালকদের একাংশই ওই চুরির সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয় হয়েছিল সংগঠনের তরফে। যদিও, শিলিগুড়ি রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রমন দে ধারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। দোষীদের চিহ্নিত করা গেলেই গ্রেফতার করা হবে।”
সংগঠন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির দুই মাইলের চা গুদাম থেকে চা পাতার ব্যাগ রিকশায় বোঝাই করে নিয়ে সেবক রোডের একটি পরিবহণ গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চা পাতা বাজারে পৌঁছোয়। অভিযোগ, মাঢপথেই রিকশাভ্যান চালকদের একাংশ রিকশা দাঁড় করিয়ে ‘বুমা’ নামে একরকম বাঁকানো লোহার হুক দিয়ে বস্তার মুখ টেনে ফাঁকা করে সেখান থেকে চা পাতার কিছু অংশ বের করে নেন। শিলিগুড়ি রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ ঘোষ অভিযোগ করেন, দিনের বেলাতেই এই ঘটনা ঘটছে। তাঁর কথায়, “আমরা পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছি। দ্রুত এটি বন্ধ না হলে প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।”
সংগঠনের অভিযোগ, এলাকার আধ কিলোমিটারের মধ্যে ভক্তিনগর থানা থাকা সত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্তদের ধরেও পুলিশ ছেড়ে দেয়। ভক্তিনগর থানার ট্রাফিক ওসি দীপাঞ্জন দাস বলেন, “আমি এ অভিযোগ পাইনি। এরকম ঘটনাও জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” তবে রিকশা চালকদেরই একাংশ স্বীকার করেছেন কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। চটজলদি পয়সার লোভে এই চুরি হচ্ছে। চুরি করা চা পাতা গুলি খোলা বাজারে বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়া যায় বলে পাতা চুরির প্রবণতা বাড়ছে। |