সরস্বতী পুজোর দিন এক নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই কাজে সাহায্য করায় যুবকের তিন সঙ্গীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে জয়গাঁর গুয়াবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই এলাকা থেকে বালিকাকে ভুটানের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার নাবালিকাকে পরীক্ষার জন্য আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জয়গাঁ থানার ওসি পঙ্কজ থাপা শুক্রবার বলেন, “অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃ্হস্পতিবার সন্ধ্যায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার পড়শি দিনমজুর রূপেশ পাসোয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তার তিন সঙ্গী মনোজ পাসোয়ান, জয়শঙ্কর পাসোয়ান ও উকিল ঠাকুরের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা হয়েছে। আলিপুর দুয়ারের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সরকারি আইনজীবী মহম্মদ রফি জানান, এ দিন বিচারক শুভ্রজ্যোতি চৌধুরী ধৃতদের জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবলিকার বয়স বছর পনেরো। সে ক্লাস নাইনে পড়ে। তার মা মারা গিয়েছে। তার বাবা অন্যত্র থাকেন। ওই কিশোরী গুয়াবাড়ি এলাকায় ঠাকুর্দার বাড়িতে থাকে। সরস্বতী পুজোর দিন সে বান্ধবীদের সঙ্গে সুপার মার্কেট এলাকায় ছবি তুলতে যায়। পরে দুপুরে একাই বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় রূপেশ ও তার বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ছেড়ে দেবে বলে একটি ছোট গাড়ি তোলে। তার পরে তাকে জোর করে ভুটানের দিকে নিয়ে যায়। সারা দিন ভুটানের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে তারা একটি হোটেলে ওঠে। বাকিরা চলে গেলে রাতে রূপেশ ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্যায় রূপেশ গুয়াবাড়ি এলাকায় ওই নাবালিকাকে ছেড়ে দেয়। নাবালিকার ঠাকুর্দা এই দিন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে নাতনি বাড়ি না আসায় পুলিশে অভিযোগ জানাই। বুধবার বিকেলে ও বাড়িতে ফিরে এসে আমাদের সমস্ত ঘটনা জানায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।”
|