কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ক্যানিংয়ের জীবনতলায় আঠারোবাঁকি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রেমিক নাসিরুদ্দিন খান ও তার বন্ধু সাজামল সাঁপুইকে গ্রেফতার করে। আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে ধৃতদের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে ওই কিশোরী পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে চরাবিদ্যা বাজারে জলসা শুনতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার কিশোরীর বাড়িতে গেলে সে বলে, “ বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে চরাবিদ্যা বাজারে জলসা শুনতে গিয়েছিলাম। বাজারে নাসিরুদ্দিনের দোকানে আমি মাঝে মধ্যে মোবাইল রিচার্জ করতে যেতাম। সেই সূত্রে ওর সঙ্গে পরিচয় ছিল। জলসায় ও আমাকে দেখে ডাকে। আমি ওর কাছে গেলে সাজামল নামে ওর এক বন্ধুর সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমাকে মোটর বাইকে করে ওদের সঙ্গে যেতে বলে।” কিশোরীর কথায়, “আমি রাজি না হওয়ায় ওরা জোর করে আমাকে মোটর সাইকেলে তোলে। চিৎকার করতে গেলে মুখ চেপে ধরে। এর পরে ওরা আমাকে সাজামলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটা ঘরে আটকে রাখতে গেলে কোনওরকমে ওদের হাত ছাড়িয়ে ছুটতে থাকি। ওরাও আমাকে তাড়া করে। একটু দূরে মাঠের মধ্যে ওরা আমাকে ধরে ফেলে। এরপর আমাকে মাটিতে ফেলে অত্যাচার করে সাজামল। সেখান থেকে আমাকে ফের সাজামলের বাড়িতে আনা হয়। সেখানে রাতভর আটকে রেখে নাসিরুদ্দিন ও সাজামল আমাকে ধর্ষণ করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ছেলে আমাকে চরাবিদ্যা বাজারে ছেড়ে দিয়ে যায়।”
সেখান থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ির লোকজনকে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপরই বাড়ির লোকজন থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নাসিরুদ্দিন ও সাজামলকে গ্রেফতার করে। |