সোচি অলিম্পিকে থেকেও নেই ভারত |
লজ্জাজনক ঘটনা, বলছেন মিলখারা
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
৭ ফেব্রুয়ারি |
এই প্রথম খেলার কোনও মেগা ইভেন্টে থাকল না ভারতের নাম। শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে সোচিতে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উড়ল না তেরঙা। প্রশাসনিক উদাসীনতা না নিয়মের ফাঁস? প্রশ্নে তোলপাড় দেশের ক্রীড়ামহল। প্রাক্তনরা সরাসরি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে দায়ী করলেও কর্তারা দোহাই দিচ্ছেন নিয়মের। |
জাতীয় পতাকা ছাড়াই মার্চ-পাস্টে তিন ভারতীয় অ্যাথলিট
(বাঁ দিক থেকে)
শিব কেশবন, নাদিম ইকবাল এবং হিমাংশু ঠাকুর। শুক্রবার
শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, সোচির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। |
দেশের কিংবদন্তি অলিম্পিয়ান মিলখা সিংহ বলেই দিচ্ছেন, “লজ্জাজনক ঘটনা। জাতীয় গৌরব সবার আগে। চেয়ারের জন্য লড়াই করার সময় তা মাথায় রাখা উচিত। ভারত থেকে মাত্র তিন জন অংশ নিচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। প্রত্যেক প্লেয়ারেরই জাতীয় পতাকা নিয়ে নামার স্বপ্ন থাকে। সমাধানসূত্র বের করতে সরকারির হস্তক্ষেপ চাই।”
২০১২ ডিসেম্বর থেকে নৈতিক আর প্রশাসনিক কারণে আইওসি-র নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আইওএ-র উপর। কিন্তু ‘বলি’ হচ্ছেন শিব কেশবন, হিমাংশু ঠাকুর আর নাদিম ইকবাল। যাঁদের সোচিতে আইওসি-র পতাকায় স্বাধীন প্লেয়ার হিসেবে অংশ নিতে হচ্ছে। অশ্বিনী নাচাপ্পার প্রতিক্রিয়া, “কর্তারা অ্যাথলিটদের কথা ভাবেন না। আমরা আইওএ-কে নির্বাচনের দিন এগিয়ে আনতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউই আমাদের কথা শুনল না।” |
অলিম্পিক মশাল হাতে ইসিনবায়েভা আর শারাপোভা। |
আইওএ-র বক্তব্য, নির্বাচন হলেই আইওসি-র নির্বাসন উঠবে না। আইওএ ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিলোচন সিংহ বলেছেন, “নির্বাচনের পর আইওসি সব খতিয়ে দেখতে এক মাস সময় নেবে। আমাদের দোষ দেওয়ার আগে গোটা ব্যাপারটা জানা উচিত।” তবে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা যতই হাত ঝাড়ার চেষ্টা করুক, শু্যটার মানশের সিংহ বলে দেন, “নির্বাচনটা আগে হতে পারত। দেশের পতাকা নিয়ে টুর্নামেন্টে নামলে আলাদা শক্তি পাওয়া যায়। এই পতাকার অভাব অ্যাথলিটদের উপর পড়বে।” |
ছবি: রয়টার্স ও এপি। |
|