|
|
|
|
নাগাদের সঙ্গে সপ্তম ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আন্তরিক, কিন্তু নিস্ফলা
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
৭ ফেব্রুয়ারি |
কেন্দ্র ও মণিপুরি নাগাদের মধ্যে সপ্তম বৈঠকও অমীমাংসীতভাবেই শেষ হল। পাশাপাশি, ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং স্বশাসন পরিষদের প্রতিনিধিরা ফের পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল।
মণিপুরবাসী নাগারা, পার্বত্য মণিপুরের নাগা অধ্যূষিত জেলাগুলিতে নাগাদের জন্য বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন। গত চার বছর ধরে দফায়-দফায় আন্দোলন, বন্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধের জেরে দীর্ঘদিন উখরুল, সেনাপতি জেলায় পথ বন্ধ ছিল। নাজেহাল হয়েছেন মণিপুরবাসী। ২০১০ সালের বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিলের (ইউএনসি) প্রথম বৈঠকটি হয়। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। ২০১১ সালে টানা ১২১ দিন ধরে ৩৯ ও ৫১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল ইউএনসি। তারপরেই কেন্দ্র ও
রাজ্য তাদের সঙ্গে ফের আলোচনায় রাজি হয়।
কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে গত কাল সেনাপতি জেলায় সপ্তম দফা আলোচনায় বসেছিল ইউএনসি। কেন্দ্রের তরফে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শম্ভু সিংহ। রাজ্য সরকারের তরফে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী গোবিন্দাস কোন্থৌজাম, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী ফ্রান্সিস গাজোকপা, বিধায়ক এন বীরেন, মুখ্য সচিব পি সি লাওমকুংগা, প্রধান সচিব সুরেশ বাবু। ইউএনসির সভাপতি এ আদানি, সাধারণ সম্পাদক গাইদন কামেই, বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থা কমিটির চেয়ারম্যান কে এস পললিও-সহ নাগাদের প্রতিনিধিরা আলোচনা শেষে জানান, বৈঠক আন্তরিক হলেও কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। লিও বলেন, “মন্ত্রিসভার সদস্যদের অংশ গ্রহণ অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। গত আলোচনাগুলিতে কেবল আমলারাই ছিলেন। আমরা আমাদের দাবির পক্ষে সব তথ্যপ্রমাণ ও নথি কেন্দ্র ও রাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছি। এ বার বল কেন্দ্র ও রাজ্যের কোর্টে।”
এ দিকে, নাগারা যে সব এলাকায় আধিপত্য দাবি করছে তার অনেকগুলিতেই কুকিরা সংখ্যায় অনেক। কুকি ইনপি মণিপুর মঞ্চের দাবি, “নাগা ও কেন্দ্রের বৈঠক মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করা ও অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে। আমরা তা হতে দেব না। যদি স্বশাসন নিয়ে আলোচনা হয় তবে সব উপজাতির সঙ্গে তা করতে হবে।”
অন্য দিকে, গত কাল সন্ধ্যায় শম্ভু সিংহ কার্বি আংলঙে আসেন। সেখানে, কার্বি ও ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস, এইচএসডিপি ও পৃথক রাজ্য দাবি কমিটি (জাকাস) নেতৃত্ব পৃথকভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলংকে পৃথক রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানায়। কার্বি আংলং ও ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদের সদস্যরা দুই পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক যথাক্রমে তুলিরাম রংঘাং ও দেবজিৎ থাওসেনের নেতৃত্বে শম্ভু সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা যুগ্ম সচিবের কাছে, দিল্লি থেকে সরসারি টাকা পাঠানো, পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন, পৃথক আইজি পদ তৈরি, বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি জানান। |
|
|
|
|
|