খন্দে ভরা রাস্তায় বিপজ্জনক যাতায়াত
নএসসি বোস রোডের গ্রাহামস ল্যান্ড থেকে সূর্যনগর পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গা নানা কারণে বার বার খোঁড়া হয়েছে। তার পরে ঠিকমতো মেরামত না হওয়ায় রাস্তার এই অংশটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এনএসসি বোস রোড দক্ষিণ শহরতলির অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, যানবাহন চাপ এই রাস্তায় খুব বেশি। প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কখনও জলের লাইন, কখনও ইলেকট্রিক লাইনের জন্য রাস্তা খোঁড়ার পরে তাপ্পি মেরে দায়সারা ভাবে কাজ সারা হয়। এ ভাবেই রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
এলাকার বাসিন্দা এবং অটোচালকরা জানান, অশোকনগর, আজাদগড়, রানিকুঠি এবং সূর্যনগরের কাছে রাস্তার মাঝে গর্ত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার হাল এমন হয়ে উঠেছে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দার। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুয়া মজুমদার বলেন, “রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তগুলি বিপজ্জনক। এক বার রাস্তা খোঁড়া হলে তা সারাতে দীর্ঘ সময় লাগে।”
এ পথেই নিত্য যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
এনএসসি বোস রোড দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তা জানান, কখনও জলের লাইনের জন্য, কখনও টেলিফোনের লাইন বসাতে বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা খোঁড়ে। রাস্তা খোঁড়ার জন্য কেউ পূর্ত দফতরের অনুমতি নেয় না। সংস্থাগুলি শুধু কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ সারে বলে তাঁর অভিযোগ।
পূর্ত দফতরের কর্তার এই যুক্তি মানতে নারাজ এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ঠিকমতো গর্ত বোজানো হয় না। দীর্ঘ দিন পরে সামান্য পিচ ফেলে গর্ত বুজিয়ে দেওয়া হয়। তাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কয়েক দিনের মধ্যেই ফের রাস্তার আগের চেহারা বেড়িয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা জানান, বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা খোঁড়ার জন্য তাঁদের অনুমতি নেয়। কিন্তু কোথাও রাস্তা খোঁড়া হলে তা সারাইয়ের জন্য পূর্ত দফতরকে আগেই অর্থ দিয়ে রাখে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রাস্তা খননের পরে তা মেরামত করতে দেরি হয় বলে ট্রাফিক পুলিশের অভিযোগ।
কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক দিলীপ আদক বলেন, “রাস্তা খোঁড়া হলে আমরা প্রথমে সেই এলাকা পরিদর্শন করি। মেরামত করা না-হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলি।”
পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (১) ফৈয়াজ আহমেদ বলেন, “ওই রাস্তা সারাইয়ের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.