চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট এবং ডক্টর দেওদার রহমান রোডের মোড়ে রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। রাস্তার ফুটপাথ বহু দিন ধরেই ভাঙা ছিল। ভেঙে গিয়েছিল কার্ভ চ্যানেলও। রাস্তাটি এবড়ো-খেবড়ো হওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হত পথচারী এবং গাড়িচালকদের।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, শুধু এই রাস্তার মোড় নয়, লেকগার্ডেন্স ফ্লাইওভারের কাছ থেকে লেকগার্ডেন্স তিন নম্বর গেটের কাছ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা সারানো হবে। স্থানীয় বরোর মাধ্যমেই এই কাজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি অংশের কাজ হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ডক্টর দেওদার রহমান রোড এবং চারুচন্দ্র প্লেস ইস্টের মোড়ের মূল সমস্যা ছিল ফুটপাথে জবরদখল। রাস্তার দু’ধারের ফুটপাথের একাংশে ডাঁই করা রয়েছে আবর্জনা। ঠিক বিপরীত দিকের ফুটপাথে ধার ঘেঁষে রয়েছে বস্তি। এ ছাড়াও, এই রাস্তার ধারের ফুটপাথের একাংশ মেরামতি না হওয়ার ফলে ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে রাস্তার ধারের একাংশের কার্ভ চ্যানেলও ঠিক নেই। জল দ্রুত বেরোতে না পারায় একটু বৃষ্টিতেই রাস্তার ধারে জল জমে যায়। |
শুরু হয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
পুরসভা সূত্রের খবর, সেই কারণেই কলকাতা পুরসভা এই রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাজেট বরাদ্দ না থাকায় এই কাজটি শুরু করা যাচ্ছিল না। এ বার কার্ভ চ্যানেল এবং পেভমেন্ট করার পরে সেখানে পেভার ব্লক লাগানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই রাস্তার মেরামতির প্রয়োজন ছিল।
শুধু ফুটপাথ তৈরিই নয়, রাস্তা সমান ও মসৃণ রাখাও দরকার। একটু বৃষ্টিতেই এখানে জল জমে যায়। এর ফলে গাড়ি চালাতে খুব অসুবিধা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মমতা মজুমদার বলেন, “চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট,
ডক্টর দেওদার রহমান রোড এবং লেকগার্ডেন্সের একাংশের রাস্তার মেরামতির খুব প্রয়োজন ছিল।
তাই পুর-কর্তৃপক্ষকে বার বার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। আপাতত কাজ শুরু হয়েছে।
রাস্তা ম্যাস্টিকও হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।”
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহরের যে সব রাস্তা পুরসভার, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নতুন করে যেখানে ম্যাস্টিক করা প্রয়োজন সেখানে ম্যাস্টিক করা হচ্ছে।”
|