ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর শহরের ইসলামপুর মেহেদী অনুষ্ঠান ভবনের কাছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতের নাম সঞ্জু ভকত (১১)। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো আটকাতে এবং রাস্তায় স্পিডব্রেকার দেওয়ার দাবিতে দেহ আটকে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। ডাম্পার ও চালককে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক ধরে এ দিন সকালে সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিল দুবরাজপুর আরবিএসডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সঞ্জু। ঠিক সেই সময় পেছন থেকে একটি খালি ডাম্পার ওই ছাত্রকে পিষে দেয়। ঘটনার পরে ডাম্পার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে চালক। কিছুদূর গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে ডাম্পার ও চালক ধরা পড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, খয়রাশোলের একটি বেসরকারি কয়লাখনি থেকে কয়লা বোঝাই করে ডাম্পারগুলি বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যায় এবং প্রতিদিন এমন বহু কয়লা বোঝাই বা খালি ডাম্পার অহরহ এই রাস্তায় যাতায়াত করে। গত কয়েক দিনে জাতীয় সড়কের বেশ খানিকাটা অংশ সংস্কার হয়েছে। এর ফলে গাড়ির গতি বেড়েছে অনেকটা। সেই জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটল বলে দাবি বাসিন্দাদের। ছাত্রের মৃত্যুর খবর স্কুলে পৌঁছতে এ দিনের মতো পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়। পেশায় গাড়ির কারিগর সঞ্জুর বাবা ফটিক ভকত বলেন, “দিব্যি সকালে ছেলেটা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু কী ভাবে যে সব শেষ হয়ে গেল কিছু বুঝতে পারছি না।” |