সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলে গিয়েছিল সোহেল। তার পর থেকে ৯ বছরের ওই বালক বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার তার হদিশ মিলল কুশকর্ণিকা নদীর বালির মধ্যে। এই ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবিতে রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন। ওসি ব্রিকদর সান্যাল বলেন, “দুর্গাপুর থেকে পুলিশ কুকুর আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” রাত ৯টা পর্যন্ত পুলিশ কুকুর এসে পৌঁছয়নি।
ঘটনাটি রাজনগর থানা এলাকার। সোহেল খান নামে ওই বালকের বাড়ি রাজনগরের শীর্ষা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে নিঁখোজ ছিল শীর্ষা কড়াডাঙাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সোহেল। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও কোনও তার খোঁজ মিলছিল না। শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগদ রাজনগরের ভবানীপুর পঞ্চায়েত এলাকার শীর্ষা গ্রাম থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে থাকা কুশকর্ণিকা নদীর সেতুর কাছের মাঠে সর্ষে কাটতে গিয়েছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। হঠাৎ তাঁদেরই নজরে পড়ে সেতুর নীচে বালির মধ্যে থেকে একটি ছোট্ট পা বেরিয়ে আছে। এটি নিখোঁজ সোহেল হতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরিবারের লোকজন এবং রাজনগর থানায় তাঁরা খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করলে দেখা যায়, এটি নিখোঁজ সোহেলই। তার পরনে নীল জিন্স ও লাল রঙের জামা ছিল। মুখে ক্ষত ও রক্তের দাগ স্পষ্ট। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বাসিন্দারা দাবি করেন। শিশুটির বাবা জাব্বার খান কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। জেঠু কাঙাল খান বলেন, “ভাইয়ের মোবাইল নিয়ে বছর চারেকের বড় শহিদুল খান নামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে সোহেল দুপুরে সাইকেলে করে বেরিয়েছিল। গোলাপগঞ্জ প্রাথমিক স্কুলে ঠাকুর দেখবে বলে সোহেল সাইকেল থেকে নেমে পড়ে। তার পর থেকে সোহেল বাড়ি ফেরেনি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই ফোনে বার বার ফোন করা হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, ফোনটির টাওয়ার দেখাচ্ছিল রাজনগরে। তার পরেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। কেন, কে বা কারা ওই ছাত্রকে খুন করল পুলিশ তার তদন্ত করছে। তবে এলাবাসীর দাবি, যতক্ষণ না পুলিশ কুকুর আসছে ততক্ষণ দেহ ছাড়া হবে না। |