টুকরো খবর |
পালাল দুই বন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সংশোধনাগারের প্রাচীর টপকে নেমে পালল দুই বন্দি। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার জেলা সংশোধনাগারে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ এবং জেল সূত্রের খবর, পলাতক দুই বন্দির নাম বিপ্লব বর্মন এবং আবেদ আলি। দুই জনের বাড়ি বাংলাদেশের লালমণিহাট এলাকায়। ওই দুই জকেই বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১২ ডিসেম্বর মাস থেকে বিপ্লব জেলে ছিলেন। আর আবেদ ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে। তদন্তকারী অফিসারেরা এ দিন জানিয়েছেন, জেলের প্রাচীরের সংস্কার কাজ চলছে। সেই জন্য জেলের ভিতরে কিছু দড়ি এবং লোহার রড ছিল। এ দিন সন্ধ্যা ৭টার পর অন্ধকার নামার সুযোগে তিন জন বন্দি লোহা রড বেঁকিয়ে হুক তৈরি করেন। তার পরে তা দড়ি ও ঢিলে বেঁধে প্রাচীরের মাথায় ছুড়ে তা আটকান। এর পরে একে একে ওই দড়ি ধরে প্রাচীরের মাথায় ওঠে লাফিয়ে পালান। বিপ্লব এবং আবেদ নেমে পালন। আরেকজন পালাতে গিয়ে জেলের ভিতরে পড়ে যান। তার পা ভেঙে গিয়েছে। তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সন্ধ্যায় ৬টার পর বন্দিদের সেলে পাঠানো হয়। তার পরে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় সেল খোলা থাকে। নিরাপত্তারক্ষীরাও খাবার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে তিন জন কী ভাবে নিরাপত্তা কর্মীদের নজর এড়িয়ে ওই কাজ করেছে তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সবাল জানান, জেলের তরফে ওই দুই বন্দির পালানোর খবর জানানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।
|
মেলার মাঠে জুয়া আটকাবে প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
হুজুর সাহেবের মেলার মাঠ এবং লাগোয়া এলাকায় এই বছর জুয়ার আসর এবং গানের জলসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে চলেছে মেখলিগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন। এ ছাড়াও হুজুর সাহেবের মেলার মাঠে ঢোকার রাস্তার দু’পাশে কোনও রকম দোকানও বসতে দেওয়া হবে না বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার হলদিবাড়িতে একরামিয়া ইসালে সওয়াব কমিটির সঙ্গে মহকুমা প্রশাসনের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি হলদিবাড়িতে হুজুর সাহেবের মেলা হবে। ফি বছর ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং মেলায় প্রায় লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়। মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রঞ্জন ঝাঁ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ধর্মসভা কমিটির পক্ষ থেকে জুয়া খেলা এবং গানের জলসা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। সে কারণেই ওই সিদ্ধান্ত। রাস্তার দু’পাশে অস্থায়ী দোকান বসলে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয়।” পাশাপাশি, একরামিয়া ইসালে সওয়াব কমিটির পক্ষ থেকে সম্পাদক লুতফর রহমান বলেছেন, “ধর্মসভা এবং মেলা সুষ্ঠ ভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য মহকুমা প্রশাসনের কাছে নানা দাবি জানানো হয়েছিল।”
|
কর্মবিরতিতে আইনজীবীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
বিচারকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি শুরু করলেন আইনজীবীরা। বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বিতীয় আদালতের বিচারকের এজলাশের সামনে বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনের জেরে ফৌজদারি মামলার সব শুনানি বন্ধ থাকে। বার অ্যসোসিয়েশন সম্পাদক সুশোভন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, “আইনজীবী এবং কর্মীদের সঙ্গে ওই বিচারক দুর্বব্যহার এবং অসহযোগিতা করছেন। এর প্রতিবাদে লাগাতার বয়কট আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বাকি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে।” এ বিষয়ে বারের পক্ষ থেকে বার কাউন্সিল, হাইকোর্ট এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা জজকে জানানো হয়েছে।
|
গরু চোর সন্দেহে গণপ্রহারে নিহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
গরু চোর সন্দেহে বাংলাদেশি এক জন যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কুচলিবাড়ির থানার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হেমকুমারি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মহম্মদ আমিনুর (৩৫)। তার বাড়ি বাংলাদেশে পাটগ্রাম এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমিনুর সহ কয়েক জন ওই গ্রামে গরু চুরির চেষ্টা করছিল। সেসময় কিছু বাসিন্দা ওই যুবককে ঘরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পরে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ-এর হাতে ওই দেহ তুলে দেওয়া হয়। মাথাভাঙার এসডিপিও গণেশ বিশ্বাস বলেন, “ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দিনহাটার নগরভাঙনি থেকে এ দিন দুপুরে গরু পাচারকারী সন্দেহে চার জনকে আটক করে বাসিন্দারা পুলিশের হাতে তুলে দেন।”
|
কুসংস্কার রুখতে প্রচার প্রশাসনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
কালিয়াগঞ্জে ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরগ্রামে সালিশিসভা বসিয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করে অভিযুক্তরা। তার পরে তাদের মারধর করে মল খেতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে বৃহস্পতিবার এ তথ্য এসেছে পুলিশ ও প্রশাসনের হাতে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেও পুলিশ ব্রজেনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বাকি ৬ অভিযুক্ত রায়গঞ্জে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ব্রজেন -সহ ৭ জনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন বিচারক ময়ূখ মুখোপাধ্যায়। শনিবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে শেরগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মদন ও ঝর্না দেবশর্মার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ১০ বছরের বিশ্বজিৎ দেবশর্মার মৃত্যু হয়। বিশ্বজিতের মৃত্যুর পর তার কাকা ব্রজেন দেবশর্মা তারই আত্মীয় ৬ জনকে নিয়ে সালিশি সভায় ওই দম্পতিকে ডাইনি বলে অপবাদ দেয়।
|
দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে পথ অবরোধে কংগ্রেস |
দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও এক নেতাকে অপহরণের চেষ্টায় অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে ৪ ঘণ্টা মালদহ-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রতুয়ার পীরগঞ্জে। দুপুর ১২টা নাগাদ পুলিশের তরফে দ্রুত অভিযুক্তদের ধরার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়। ৩০ জানুয়ারি মোটর বাইকে কংগ্রেস নেতা গোলাপ হোসেন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহদেব বসাক বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের কর্মীরা বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের অপহরণ করার চেষ্টা করে। তাঁদের মারধরও করা হয়। কংগ্রেসের দাবি, ওই ঘটনায় রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিয়াজুদ্দিন আহমেদ জড়িত। রিয়াজুদ্দিন সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসে গোষ্ঠীদন্দ্বেই ওই ঘটনা। জেলার পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের দ্রুত ধরা হবে।” গোলমালের সূত্রপাত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়। পীরগঞ্জ পঞ্চায়েতের ৪ সদস্যের দলত্যাগকে কেন্দ্র করে দুই দলে বিবাদ শুরু হয়েছে। ১৪ আসনের পঞ্চায়েতে ১২টি কংগ্রেসের ও সিপিএমের দুটি আসন। ২০ জানুয়ারি পঞ্চায়েত প্রধান মীরা কর্মকার, ৩ কংগ্রেস সদস্য দল ছেড়ে নির্দল হওয়ার জন্য প্রশাসনে আবেদন জানান। তাঁদের মধ্যে সহদেববাবুও ছিলেন। পর দিন সহদেববাবু কংগ্রেসে থাকতে চান বলে প্রশাসনকে লিখিত জানিয়ে দেন। কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়াদের দলত্যাগ বিরোধী আইনের কোপে পড়ার আশঙ্কায় তৃণমূল তাঁকে অপহরণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত রিয়াজুদ্দিনের দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। কংগ্রেস ছাড়ায় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”
|
আরও পড়তে চান পাপিয়া |
বছর সাতেক আগে মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথেলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পায় পাপিয়া তরফদার। খো খো এবং অ্যাথেলেটিকে রাজ্য ও জাতীয় স্তরেও নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল পাপিয়া। জাতীয় স্কুল স্তরের আসরে সফল পাপিয়ার পড়াশোনায় বর্তমানে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া কামাখ্যাগুড়ি শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজের শরীরশিক্ষার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। যদিও ভর্তির হাজার টাকা জোগাড় না হওয়ায় এ বারে পরীক্ষায় বসার আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেননি পাপিয়া। তাঁর কথায়, “সম্প্রতি একশো দিনের কাজে সমীক্ষার কাজ করে হাজার টাকা পাই। সেটা মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ভাইয়ের ভর্তি, বই কেনার জন্য খরচ হয়ে যায়। নিজের পড়ার জন্য কিছু বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি।” যা শুনে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের সাফেলি বলেছেন, “ওর সমস্যার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। কিছু দরিদ্র ছাত্রছাত্রীকে প্রতি বছর ভর্তিতে ছাড় দেওয়া হয়। পাপিয়ার ক্ষেত্রে তা করা যেতেই পারে।” পঞ্চায়েতের প্রধান অবনীকুমার বিশ্বাস জানান, “পাপিয়ার ক্রীড়াচর্চায় যাতে সমস্যা না হয় তা দেখা হবে।” |
|