স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফর্ম না পেয়ে ইটাহার থানার দুর্গাপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রায়গঞ্জের হাসপাতাল মোড় অবরোধ করে ক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ আবেদনকারীরা। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অমল আচার্যকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একই সময়ে শতাধিক আবেদনকারী দুটি এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় দু’ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। আবেদনকারীরা পাথর ছুড়ে হাসপাতাল রোড সংলগ্ন রায়গঞ্জের মুখ্য ডাকঘরের একটি জানালা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। এ দিন সকাল থেকে দুর্গাপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ভুপালপুর ডাক ঘরের সামনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফর্ম তুলতে কয়েকশো আবেদনকারী লাইন দেন। বেলা বাড়তেই ডাকঘর কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীদের জানিয়ে দেন বালুরঘাট প্রধান ডাকঘর থেকে ফর্ম সরবরাহ না হওয়ায় এ দিন ফর্ম বিলি হবে না। ক্ষুব্ধ আবেদনকারীরা ডাকঘর সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনাচক্রে ইটাহার থেকে রায়গঞ্জে যাওয়া সময়ে আটকে পড়েন বিধায়ক অমলবাবু। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই ফর্ম বিলির দাবিতে তাঁকে ঘেরাও করে আবেদনকারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে ফর্ম বিলির সময়সীমা বাড়ানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অমলবাবু বলেন, “আবেদনকারীদের বিক্ষোভ অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। বিভিন্ন ডাকঘরে ফর্ম বিলিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ফর্ম বিলির সময়সীমা বাড়ানোর কথা চিন্তাভাবনা করছেন।” একই ভাবে রায়গঞ্জের হাসপাতাল রোড সংলগ্ন মুখ্য ডাক ঘরে ৬০০ জনের বেশি আবেদনকারী স্কুল সার্ভিস ফর্ম তোলার জন্য লাইনে দাঁড়ান। অভিযোগ, দেড়শোটি ফর্ম বিলি হওয়ার পর ফর্ম শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ ফর্ম বিলি বন্ধ করে দেন। এরপরেই ক্ষুব্ধ শতাধিক আবেদনকারী ফর্ম না পেয়ে ডাকঘর সংলগ্ন রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পাথর ছুঁড়ে ডাকঘরের একটি জানলা ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। |