সরকারি হোম থেকে এক কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাত ১টা নাগাদ কোচবিহারে কোতোয়ালির বাবুরহাটের সরকারি হোম শহিদ বন্দনাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ২ যুবক আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন খোদ কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা। ওই যুবকদের এখনও গ্রেফতার করা না হলেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হোম সূত্রেই জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেও ওই হোম থেকে ২ জন কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই দুই জনকে উদ্ধার হয়। ঘটনায় সরকারি হোমের নজরদারি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বুধবার রাতে ফের এক কিশোরী নিখোঁজ হওয়ায় প্রশাসনের গড়িমসিতে প্রশ্ন দেখা দিল। হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুপর্ণা বর্মন বলেন, “বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়েছে।” হোম ও প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই সরকারি হোমে ৯২ জন আবাসিক রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নানা মামালায় অভিযুক্ত। বয়স কম হওয়ার জন্য তাদের হোমে রাখা হয়েছে। যে কিশোরী হোম থেকে নিখোঁজ হয়েছে, সে একটি মামলায় অভিযুক্ত। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ওই কিশোরী হোমে ছিল। ওই দিন রাতে ওই কিশোরী ১২ বছরের আবাসিক বালিকাকে নিয়ে হোমের পিছনের জানালার শিক খুলে পাইপ বেয়ে নীচে নামে। বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে তারা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর গাড়ি না পেয়ে ওই বালিকা পাইপ বেয়ে ফের উপরে ওঠে ঘরে ঢুকে যায়। কিন্তু তার সঙ্গী ওই কিশোরীর ফেরেনি। হোমে রাতের পাহারার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। এ ছাড়াও ১১ জন কর্মী আছেন। যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন নিরাপত্তারক্ষী সামনের দিকে ছিলেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ওই কিশোরী পালায়। তবে জানলার শিকের স্ক্রু চামচ দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খোলা হয়েছিল। তা কেন কর্মীরা টের পেলেন না তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। কিশোরীর একটি মোবাইল মিলেছে। সেটির কলরেকর্ড পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন সকালে হোমে যান সদর মহকুমাশাসক। স্থানীয় কিছু যুবক ওই কিশোরীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করত বলে তিনি অভিযোগ পান। এদের মধ্যে দুই জনকে মহকুমা শাসক ধরেন। তবে এলাকার অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর পালিয়েছে কি না তাও তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন। |