|
|
|
|
থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা বাড়াতে ব্লকে-ব্লকে শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
যত দিন যাচ্ছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই প্রেক্ষিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় বৃহস্পতিবার এক শিবিরের আয়োজন করা হল মেদিনীপুর শহরের শহিদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে। ভবিষ্যতে ব্লকে-ব্লকে রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি সচেতনতা শিবির করার জন্যও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। সভাধিপতির কথায়, “থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রধান শিক্ষকেরা যাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, সে জন্য সকলকেই এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ বার ব্লক স্তরেও রোগ নির্ণয় শিবির থেকে সচেতনতা শিবির করার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।” আর এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি অফ মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট-এর যুগ্ম সম্পাদক বাবলু চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “আমাদের যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানেই যাই। ব্লক স্তরেও এরকম শিবির করতে পারলে বহু মানুষের উপকার হবে।” |
|
থ্যলাসেমিয়া সেমিনার।—নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষের বসবাস। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ মানুষের রক্ত পরীক্ষা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ শতাংশ মানুষ এই রোগের ‘বাহক’, আর ২ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত বলে বাবলুবাবু জানিয়েছেন। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে এ দিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন চিকিৎসক তুফানকান্তি দোলই ও সুদীপা বসু। তবে সকলেই জোর দিয়েছেন বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার উপরে। এ বিষয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতে সচেতনতা বাড়ানোর সঙ্গে যাতে রক্ত পরীক্ষারও সুযোগ দেওয়া যায় সে জন্য স্কুল, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড়। |
|
|
|
|
|