আমানতের টাকা হাতিয়ে ‘উধাও’ সংস্থা, অভিযোগ
মানতকারীদের থেকে মোটা টাকা তুলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার নামে। বুধবার মহকুমা শাসকের দফতরে আমানতকারীদের একাংশ অভিযোগ জানান। বৃহস্পতি বার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেও তাঁরা ওই অর্থ লগ্নি সংস্থার তাঁরা জানান, সম্প্রতি আমানতকারীদের একাংশ সমস্যার কথা জানাতে থানাতে গেলে তাঁদের কথা না শুনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আমানতকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। তা ছাড়া সংস্থার কর্ণধারদের দ্রুত গ্রেফতার করে টাকা উদ্ধারের দাবিও তোলেন। পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “থানায় অভিযোগ কেন নেওয়া হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, “আমানতকারীরা এসেছিলেন। তাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সে সব পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আমানতকারীদের অভিযোগ, শিলিগুড়ি মহকুমায় অন্তত ৩০ হাজার আমানতকারী টাকা রেখেছিলেন ওই সংস্থায়। ১০, ২০ হাজার থেকে দেড় দুই লক্ষ টাকারও বেশি রেখেছেন তাঁদের অনেকে। তাতে বহু কোটি টাকা শুধু শিলিগুড়ির বাজার থেকে তুলেছে সংস্থাটি। গত মে মাসেই ওই সংস্থার কর্ণধার, ম্যানেজার এবং অন্য আধিকারিকরা হিলকার্ট রোডে থাকা সংস্থার অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান। আমানতকারীরাই জানান, অফিস বন্ধ হলেও দুই জন কর্মী কিছু দিন ছিলেন। তা ছাড়া ওই অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে ম্যানেজার হিসাবে থাকা সুখেন মল্লিক এবং অপর পদস্থ কর্তা স্বপন বিশ্বাসকে ফোন করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছিলেন টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। অফিসও খুলবে। সেই মতো আমানতকারীরা আশা নিয়ে বসেছিলেন। সম্প্রতি ওই দুই কর্মীও পালিয়ে যান। নিরুপায় হয়ে আমানতকারীরা জানুয়ারিতে মাটিগাড়া থানা ও শিলিগুড়ি থানায় যান। কিন্তু পুলিশ সে অভিযোগ নিতে চায়নি।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.