|
|
|
|
মন্তব্য এড়িয়েও নেতাই-বার্তা সূর্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও নয়াদিল্লি |
নেতাই-কাঁটা আপাতত পিছু ছাড়ছে না বামফ্রন্টের! ঘটনার তিন বছর পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেন হঠাৎ ভুল স্বীকার করতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অব্যাহত রেখেছেন বাম শরিক নেতারা। আবার নেতাই কাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সিপিএম শীর্ষ নেতাদেরও যে সব যুক্তি দিতে হচ্ছে, তাতে ইন্ধন পাচ্ছে আরও জল্পনা!
মেদিনীপুরে গিয়ে রবিবার বুদ্ধবাবু বলেছিলেন, “নেতাইয়ে আমাদের ছেলেরা ভুল করেছিল। ভীষণ ভুল!” তার পর থেকেই বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। এবিপি আনন্দে বুধবার এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি
বলেন, “নেতাই নিয়ে আমি একটা কথাও বলব না। কারণ এটা বিচারাধীন বিষয়। এ ব্যাপারে এমন কিছু বলতে পারি না, যা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।”
সূর্যবাবুর এই কৌশলী জবাবের ইঙ্গিত বুদ্ধবাবুর দিকেই কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। ঘটনাচক্রে, বুধবার বামফ্রন্ট বৈঠকে শরিক নেতৃত্বের একাংশ ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছে ঠিক এই প্রশ্নই তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, নেতাই এখনও বিচারাধীন বিষয়। এমন সময়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করায় শাসক দল নানা আইনি প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। সূর্যবাবুর এ দিনের কথায় সেই যুক্তিরই প্রতিধ্বনি পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন শরিক নেতাদের একাংশ।
আবার এ দিনই দিল্লিতে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি বোঝাতে চেয়েছেন, নেতাই-কাণ্ড নিয়ে বুদ্ধবাবু দুঃখপ্রকাশ করে ঠিকই করেছেন। ইয়েচুরির যুক্তি, “বুদ্ধদেব কখনওই বলেননি যে, নেতাইয়ে সিপিএমের কর্মীদের হাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। উনি শুধু ওই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন।”
শরিকদের তরফে নেতাই নিয়ে প্রশ্ন তোলা চলছেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় এ দিন দলের কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কৃষক সভার ২৩ তম রাজ্য সম্মেলনের অবসরে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী বলেছেন, “বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমানবাবুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বুদ্ধদেব ভট্টাটার্য এই সময়ে এমন মন্তব্য করলেন কেন? এটা কি দলের সিদ্ধান্ত? তাতে বিমানবাবু বিব্রত বোধ করেন। তিনি জানান, দলের তরফে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে মনে পড়ছে না।”
এমন ঘটনায় ফ্রন্টের ছোট শরিকেরা সমস্যায় পড়ছে কি না, জানতে চাইলে ক্ষিতিবাবু বলেন, “নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্কট! আমাদের অনেককে নিয়ে চলতে হয়। নেতৃত্বের এ রকম বেফাঁস মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়ে।” |
|
|
|
|
|