লপথে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দ ট্যুরিস্ট সার্কিট’-এ এ বার দক্ষিণেশ্বরকে সংযুক্ত করতে মন্দিরের কাছেই জেটি তৈরির কাজ শুরু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। বৃহস্পতিবার সেই কাজের সূচনা করেন কামারহাটি পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। আগামী অগস্ট মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
বালি ব্রিজের নিচে ওই ভাসমান জেটি তৈরি করছে রাজ্য পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম। সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার রঞ্জিতকুমার পাল জানান, পুরো কাজের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। জেটিতে যাওয়ার জন্য ১৮০ মিটার লম্বা একটি সেতু ও ৩০ মিটার লম্বা গ্যাংওয়ে তৈরি করা হবে।
২০১৩-র অগস্ট মাসে বেলুড় মঠে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জলপথে এক সুতোয় গাঁথা হবে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। সেই মতো ওই বছরেই ২৮ অগস্ট ‘এম ভি নটরাজ’ নামে একটি লঞ্চ চালু করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। লঞ্চটি ফেয়ারলি থেকে হাওড়া, বাগবাজার, বরাহনগর, বেলুড় মঠ হয়ে আড়িয়াদহ পর্যন্ত চলাচল শুরু করে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে কোনও জেটি না থাকায় সেখানে লঞ্চ ভিড়তে পারছিল না।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের ৩০ অগস্ট পরিবহণ, সেচ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা, দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির কর্তৃপক্ষ ও আদ্যাপীঠের সম্পাদককে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে জেটি তৈরির জায়গা পরিদর্শন করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। এর পরেই উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, বালি ব্রিজের নীচের অংশে নাব্যতা কম হওয়ায় সেখানেই জেটি তৈরি করা যেতে পারে। বালি ব্রিজ থেকেও সহজে সিঁড়ি দিয়ে নেমে লঞ্চ ধরা যাবে।
গোপালবাবু বলেন, “দক্ষিণেশ্বরে জেটি তৈরির পরে মদনবাবুর ইচ্ছা মতো গঙ্গার পাড়ে গ্যাসবাতি বসানো, শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত নহবতখানারও সংস্কার হবে ধাপে ধাপে।” জেটি থেকে নেমে ওই নহবতখানার পাশ দিয়ে গঙ্গার পাড় ধরে খুব কম সময়ে কালীমন্দিরে যাওয়ার একটি রাস্তা তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে যে জায়গায় জেটি তৈরি হচ্ছে, সেখানে একটি বস্তি রয়েছে। কিন্তু বস্তির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ না করে যাতে ওই জায়গাতেই সুন্দর ভাবে রাখা যায়, তারও একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান গোপালবাবু।
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র এ দিন বলেন, “আমি হাসপাতালে রয়েছি। তাই যেতে পারিনি। তবে ওই জেটি তৈরি হয়ে গেলে মানুষ সহজেই শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিবিজড়িত দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরতে পারবেন। প্রয়োজনে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।” তিনি আরও জানান, হাওড়া থেকে বেলুড়, বালি, কোন্নগর, দক্ষিণেশ্বর-সহ আরও কয়েকটি জায়গার মধ্যে ওয়াটার ট্যাক্সি চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির ও দেবত্র এস্টেট এর তরফে কুশল চৌধুরী বলেন, “পরিবহণ দফতরকে আমরা সমস্ত রকমের সহযোগিতা করব বলে জানিয়েছি। এই কাজ হলে দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীদের খুব সুবিধা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.