অযোধ্যা স্কোয়াডের আরও দুই সদস্য আত্মসমর্পণ করলেন। তাঁরা হলেন ঘেনারাম কুমার ওরফে ঘনশ্যাম ওরফে দীনবন্ধু ওরফে দেশবন্ধু এবং হেমন্ত হেমব্রম ওরফে বুড়ো ওরফে শুকলাল। তাঁরা একটি থ্রি নট থ্রি ও একটি দোনলা বন্দুক জমা দেন। ৩৭ বছরের ঘেনারামের বাড়ি আড়শার সিঁদুরপুর গ্রামে। বছর চব্বিশের হেমন্ত আড়শার তানাসি গ্রামের বাসিন্দা।
|
পুরুলিয়ায় আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) অজয় নন্দ, পুরুলিয়া পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার এবং বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের সামনে তাঁদের কড়া নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার নিয়ে আসা হয়। আইজি দাবি করেন, “ঘনশ্যাম অযোধ্যা স্কোয়াডের প্রথমসারির সদস্য ছিলেন। আটটি মামলায় তিনি জড়িত। তার মধ্যে বাগবিন্ধ্যার গণহত্যা ও পার্থ-সৌম্যজিত্ খুন-সহ সাতটি খুনের মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। হেমন্তের বিরুদ্ধে একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকা-সহ তিনটি মামলা রয়েছে।” তাঁদের আপাতত ‘ট্রানজিট ক্যাম্পে’ রাখা হবে। সরকারি বিধি মেনে প্রত্যেককে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে ইতিপূর্বে ওই স্কোয়াডের জাগরী বাস্কে, রাজারাম সোরেনের মতো শীর্ষ মাওবাদী নেতারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। গ্রেফতার হয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জানান, ঘেনারাম ২০১০ সালে এবং হেমন্ত ২০১১ সালে অযোধ্যা স্কোয়াডে যোগ দিয়েছিলেন। আইজি জানান, অযোধ্যা স্কোয়াড ভেঙে যাওয়ার পরে ঘেনারাম ও হেমন্ত দলমা স্কোয়াডে যোগ দেন। সংগঠন গোছাতে তাঁরা অযোধ্যা পাহাড়েও যাতায়াত শুরু করেছিলেন। পুলিশ ঝাড়খণ্ড সীমানায় তল্লাশিও বাড়িয়েছিল। পুলিশের এক কর্তা জানান, অধরা মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করাতে তাঁদের বাড়িতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথা থেকে এল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |