এসএসসি-টেট পরীক্ষার ফর্ম বিলি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে বসিরহাটের বাদুড়িয়া ও কাটিয়াহাট ডাকঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মীদের আটকে বিক্ষোভ দেখাল পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় বাদুড়িয়া, কাটিয়াহাট এবং ন্যাজাতে উত্তেজনা ছড়ায়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ফর্ম মিলছে না। ডাকঘরের কর্মীদের বক্তব্য, প্রয়োজনের তুলনায় এত কম পরিমাণে ফর্ম পাঠানোয় স্বল্প সংখ্যক লোককে তা দেওয়া যাচ্ছে। অথচ পরীক্ষার্থীরা তাঁদেরই ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গেটে তালা ঝুলিয়ে আটকে রাধা হয় আমাদের।” পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে কর্মীদের উদ্ধার করে।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “পোস্ট অফিসে যে ভাবে ফর্ম পাঠানোর সে ভাবেই পাঠানো হয়েছে। এখন কোনও পোস্ট অফিসে কত পরীক্ষার্থী যাবেন সেটা তো বোঝা সম্ভব নয়। তা ছাড়া অনলাইনেও ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু রয়েছে।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ৩০ জানুয়ারি বসিরহাট মহকুমার ৭টি ডাকঘর থেকে এসএসসি-টেট পরীক্ষার ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল ৮ ফেব্রুায়ারি পর্যন্ত ফর্ম দেওয়া হবে। কিন্তু তার মধ্যে সরস্বতী পুজোর জন্য ছুটির দিন পড়ে যাওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বসিরহাট হেড পোস্টঅফিস ছাড়াও বাদুড়িয়া, কাটিয়াহাট, ন্যাজাত, হাসনাবাদ, খোলাপোতা, হিঙ্গলগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে ফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ছেলেমেয়ে লাইন দিলেও ফর্ম পাচ্ছেন মাত্র কয়েকশো ছেলেমেয়ে। কাটিয়াহাট ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার আমিনুস ইসলাম বলেন, “বেশ কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী দাঁড়ালেও বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৩০০টি ফর্ম বিলি করা গিয়েছে। আরও ফর্ম দরকার হওয়ায় তা চেয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু তা আসেনি। এ খবর জানতে পেরে বিক্ষোভ শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। আর ফর্ম দেওয়া সম্ভব হবে না বলায় আমাদের কর্মীদের তালাবন্ধ করে রাখে।” একই বক্তব্য ন্যাজাত ডাকঘর কর্মীদেরও। বাদুড়িয়ার পোস্ট মাস্টার মহম্মদ আলি বলেন, “সকাল থেকেই বাইরে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫০০টি ফর্ম দিতে পেরেছি। ফর্ম না পাঠোনা হলে আমাদের কি করার থাকতে পারে। এ সব না বুঝেই পরীক্ষার্থীরা আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।” |