|
|
|
|
মনোহরচকে গুদামে আগুন, নেভাতে হিমশিম দমকলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
জনবহুল ঘিঞ্জি এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের গুদামে মজুত দাহ্য পদার্থে আগুন বেআব্রু করে দিল কাঁথি শহরের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বেহাল দশাকে। কাঁথি শহরের মনোহরচকে বিদ্যুৎ দফতরের গুদামে বুধবার আগুন লাগে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে কোন পুকুর বা জলাধার না থাকার দরুণ আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে সমস্যায় পড়তে হয়। দমকল বাহিনী ও স্থানীয় মানুষজনের প্রচেষ্টায় প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শহরে ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে এ ভাবে বিদ্যুৎ দফতরের গুদাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা। কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এলেও পর্যাপ্ত জলের অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের বেগ পেতে হয়। পরে আরও দু’টি জলের ট্যাঙ্কার এনে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।” অবিলম্বে ঘিঞ্জি এলাকা থেকে ওই গুদাম সরানোর দাবিও জোরালো হয়েছে।
কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর সুপ্রকাশ মাইতির অভিযোগ, “জনবহুল এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের ওই গুদামের পাশেই ছোটদের একটি স্কুল আছে। গতকাল স্কুল ছুটি ছিল। না হলে আরও বড় বিপদও ঘটতে পারত।” কাঁথি শহরের জনবহুল এলাকায় পর্যাপ্ত জলের কোনও বন্দোবস্ত না থাকায় ভবিষ্যতে শহরে বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সমস্যা হতে পারে বলে মানছে দমকল বাহিনীও। বুধবারের আগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে। বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে জনবহুল এলাকা থেকে গুদামটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেন। বিধায়ক জানান, বিদ্যুৎ দফতর যত দ্রুত সম্ভব গুদামটি শহরে প্রস্তাবিত সাবস্টেশনের জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|