নিজের বোলিংয়ে খুশি ইশান্ত
৬ ফেব্রুয়ারি
শেষ কবে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছেন, কেউ জানে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যর্থ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরেও একই হাল ইশান্ত শর্মার। প্রথম দু’টো এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন, দু’ উইকেট নিয়েছেন ১১৮ রান দিয়ে। ইকোনমি রেট প্রায় আটের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথম দিন অবশ্য দুটো উইকেট পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, কেন উইলিয়ামস বা কোরি অ্যান্ডারসনকে বিন্দুমাত্র চাপে ফেলতে পারেননি। তা সত্ত্বেও নিজের বোলিং নিয়ে নাকি খুশি ইশান্ত শর্মা।
এ দিন রস টেলরকে আউট করে টেস্টে ১৫০ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইশান্ত। আর তাতেই ডগমগ তিনি। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেছেন, “টেস্টে দেড় শো উইকেট পাওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। আমার অন্তত মনে হচ্ছে, আমি বোলিংটা ভালই করছি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টেস্টে বেশ ভাল বল করেছি। এখন যে ভাবে বল করছি তাতে আমি খুব খুশি।”
প্রথম দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের ৩২৯-৪ স্কোর নিয়ে ইশান্তের বক্তব্য, “সারা দিন ধরে আমরা কিন্তু ঠিক জায়গায় বলটা রেখে গিয়েছিলাম। ওদের ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আর যত সময় গিয়েছে, উইকেট ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে লাঞ্চের পর থেকে। এই ধরনের উইকেটে আপনাকে ধৈর্য ধরে ঠিক জায়গায় বলটা রাখতে হবে।”
প্রথমে ম্যাকালাম-উইলিয়ামসন জুটি এবং পরে ম্যাকালাম-অ্যান্ডারসন জুটি দিনটা শাসন করলেও ইশান্ত বলছেন, “আমরা কিন্তু গোটা দিনে কখনও তীক্ষ্ণতা হারাইনি। ওদের রান রেটও খুব একটা বাড়তে দিইনি।”

বেহাল ইশান্ত। বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে। ছবি: এএফপি।
ইশান্ত এ কথা বললেও ঘটনা হল, গোটা দিন ধরেই কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা সাড়ে তিনের আশেপাশে রানরেট রেখে গিয়েছেন। তার মধ্যে আবার চারটে ক্যাচ ফেলেছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা।
দিনের শেষে সুনীল গাওস্কর ভারতীয় ফিল্ডিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ইশান্ত বলছেন, “নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ পড়লে বোলার হিসেবে আপনার খারাপ তো লাগবেই। কিন্তু খেলায় এ ধরনের ব্যাপার হয়েই থাকে। এ সব নিয়ে না ভেবে নিজের কাজটা করে যেতে হবে।”

মানসিকতাই আসল: গম্ভীর

৬ ফেব্রুয়ারি
যে কোনও বিদেশ সফরে শুরুটা ভাল না হলে ছন্দে ফেরা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট সিরিজ শুরুর প্রথম দিনের পর এমনটাই বলছেন ধোনির টিমের বাতিল ওপেনার গৌতম গম্ভীর।
এখানে এক অনুষ্ঠানে এসে গম্ভীর বলেন, “শুরুটা একবার খারাপ হয়ে গেলে বাকি কাজটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকাই হোক বা নিউজিল্যান্ড। ছন্দ একবার না পেলে আপনি লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়বেন।” টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ০-৪ ওয়ান ডে সিরিজ হারটা যে ভারতের কাছে বড় ধাক্কা, সেটা মানছেন গম্ভীর।
২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন গম্ভীর। সে সফরের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পরে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা আসলে মানসিক কাঠিন্যের ব্যাপার। আপনি মানসিক ভাবে যতটা শক্তপোক্ত হবেন, ততই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।” তবে গম্ভীরের আশা, টেস্ট সিরিজ এখন প্রায় পুরোটাই বাকি। ভারতের ভাগ্য ঘুরতেও পারে।
সামনে আসন্ন ইরানি ট্রফি। যে ম্যাচ নিয়ে গম্ভীরের বক্তব্য, “আমি কোনও ম্যাচকে আলাদা করে দেখি না। যে ভাবে অন্য ম্যাচ খেলি, সে ভাবেই খেলব।”
আর নিজের সমালোচকদের নিয়ে কী বলবেন? “আপনি আপনার নিজের খেলাটা জানেন। কিন্তু এমন অনেকেই আছে, যারা আপনাকে চেনে না, যারা আপনার খেলা দেখেনি, কিন্তু তারাও অনেক মন্তব্য করে বসে। আপনি নিজে যদি বোঝেন, ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছে, তা হলেই হবে। আপনি জানেন, সে ক্ষেত্রে ক্রিজে কিছুটা সময় কাটালেই আপনি ছন্দে ফিরে আসবেন।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.