রাস্তার কাজটা শহরে মূলত করে পূর্ত দফতর গ্রামে জেলা পরিষদ। কিন্তু হাওড়ার বাসিন্দাদের ক্ষোভ সামাল দিতে এ বার সেখানে রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়ল সেচ দফতরও। বৃহস্পতিবার ডোমজুড় ব্লকে একটি রাস্তার কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে সেচ ও জলপথ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু হাওড়া জেলাতেই নিকাশি, রাস্তা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।
হাওড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেচ ও নিকাশির কাজে পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা। তাই বৃষ্টি হলেই বন্যা হয়ে যায় আমতা, উদয়নারায়ণপুরের মতো বেশ কয়েকটি এলাকায়। কিছু দিন আগেও নিকাশি নালা ও বিভিন্ন খালের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, বর্ষার পরে কয়েক মাস জলে ডুবে থাকত শহর এলাকাও। সেই জমা জলে ডুবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বালি, বাগনান, শলপ, পাঁচলা-সহ বিভিন্ন বন্যাপ্রবণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, খাল সংস্কার ও নতুন করে নিকাশি নালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন উত্তর নিবড়া, দক্ষিণ নিবড়া এবং পঞ্চাননতলা এলাকা থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা হয়। সওয়া দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার জন্য খরচ হবে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা।
কিন্তু সেচ দফতর রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের করছে কেন?
রাজীববাবু বলেন, “সর্বত্রই রাস্তা, পানীয় জল আর নিকাশি ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জেলা পরিষদের হাতে এত টাকা থাকে না যে, এক দিনেই সমস্ত রাস্তা তৈরি বা সংস্কার করে দেবে। তাই সেচ দফতর যদি নিকাশি নালার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার কাজও করে, অসুবিধা কোথায়?”
রাস্তা, নিকাশির মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলা যে অনেক পিছিয়ে পড়েছে, তার জন্য এ দিন বিগত বাম জমানাকে একহাত নেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় রাজ্য জুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ৩৪ বছরের জঞ্জাল তো আর এক দিনে সাফ করে ফেলা সম্ভব নয়। তবে আমাদের নতুন সরকার মাত্র আড়াই বছরে যে-হারে উন্নয়নের কাজ করেছে, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষতারই প্রমাণ। আর এই দক্ষতাই তাঁকে আগামী দিনে দেশের কান্ডারি করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
সেচমন্ত্রী রাজীববাবু প্রত্যয়ের সঙ্গে জানান, উন্নয়নমূলক কাজ ও প্রকল্পের মধ্য দিয়েই নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন মমতা । |