|
|
|
|
মাওবাদী বন্ধেই রাহুলের সফর, উদ্বিগ্ন ঝাড়খণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
৬ ফেব্রুয়ারি |
কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর সফরের দিনই ঝাড়খণ্ড বন্ধ ডাকল মাওবাদীরা। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। গত রাতে স্থানীয় একটি হিন্দি দৈনিকের দফতরে টেলিফোন করে আগামীকাল, ৭ ফেব্রুয়ারি বন্ধের কথা জানায় মাওবাদীরা। কালই রাহুল আসছেন ঝাড়খণ্ডে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারিবাগ, রামগড়ের মতো জেলায় মাওবাদী উপদ্রব রয়েছে। ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ওই পথেই রাহুলের ‘র্যালি’ রাঁচিতে পৌঁছবে। বাড়তি সতর্কতা নিতে ওই রাস্তায় কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। তল্লাশি করছে ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ও (এসপিজি)। শুক্রবার সকালে রাহুল প্রথমে রাঁচিতে পৌঁছবেন। সেখানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে হেলিকপ্টারে পৌঁছবেন হাজারিবাগ। সেখান থেকে রোড-শো করে ফের রাঁচি আসবেন কংগ্রেস-যুবরাজ। কারাবাসের মেয়াদ শেষ হলেও, রাজ্যের বিভিন্ন জেলে অনেক মাওবাদী এখনও বন্দি। মুক্তির দাবিতে তাঁরা অনশন করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পলামুতে মাওবাদীদের কোয়েল শঙ্খ কমিটির মুখপাত্র সুধীরজির তরফে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, অনশনকারী ওই বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সেই দাবিতেই শুক্রবার বন্ধ ডাকা হয়েছে।
কংগ্রেস অবশ্য মাওবাদীদের বন্ধকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ সিংহ জানান, সহ-সভাপতির অনুষ্ঠান যে ভাবে নির্ধারিত করা হয়েছে, তা-ই থাকবে। রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ অফিসারের কথায়, “যে সব জায়গা দিয়ে ওই শোভাযাত্রা যাবে, সেগুলি জাতীয় সড়কের উপরে অবস্থিত। সে কারণে সেখানে গোলমালের আশঙ্কা কম। কারণ মাওবাদী প্রভাব গ্রামীন এলাকাতেই বেশি। তবে, নিরাপত্তার জন্য সদর ও গ্রামীনদু’জায়গাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হবে।”
পুলিশ মুখপাত্র অনুরাগ গুপ্ত বলেন, “কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকবে ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনীর স্পেশাল অ্যাসাল্ট বাহিনীও।” |
|
|
|
|
|