|
|
|
|
তপ্ত ভারত-মার্কিন সম্পর্ক
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
৬ ফেব্রুয়ারি |
ফের বিরোধের সম্ভাবনা দেখা দিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। এ বার বিরোধের মূলে এইচ-ওয়ান বি ভিসা নিয়ে আমেরিকার নীতি।
নিউ ইয়র্কে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারি নিয়ে সম্প্রতি বহু কূটনৈতিক টানাপোড়েন হয়েছে। পরে আবার ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির সুরক্ষার মান নামিয়ে দেয় মার্কিন অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে, ফের আমেরিকার উপরে বিরূপ হয় দিল্লি।
গত বছরে মার্কিন আইনসভা সেনেটে অভিবাসন সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে। তাতে এইচ-ওয়ান বি ভিসার ফি বাড়ানো ও কয়েকটি ক্ষেত্রে বাড়তি এইচ ওয়ান-বি ভিসা দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থা, বিশেষত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা ওই ভিসা নিয়েই নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য আমেরিকায় কাজ করতে যান। ফলে, প্রত্যাশিত ভাবেই বিষয়টি ভারতের কাছে উদ্বেগজনক। মার্কিন কর্মী নিয়োগ না করে বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা কম খরচে ভারতীয়দের এনে কাজ করাচ্ছে বলে অভিযোগ মার্কিন শিল্প ও কর্মী সংগঠনের। তাদের চাপেই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর জানান, এই বিষয়টি ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে তা আমেরিকাকে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে আইনসভার নেতা জন বোহনার ও হ্যারি রিডের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
ভারতে মেধাস্বত্ব রক্ষা করা কঠিন বলেও অভিযোগ তুলেছে মার্কিন শিল্প মহলের একাংশ। একটি মার্কিন বণিকসভার অনুষ্ঠানে সম্প্রতি সেনেটর ওরিন হ্যাচ দাবি করেন, “ভারতীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করতে লাগাতার জুয়াচুরি চলে সে দেশে।” মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতকে ২৫টি দেশের তালিকায় একেবারে নীচে রেখেছে ওই বণিকসভা। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কথায়, “হ্যাচের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত। মার্কিন ওষুধ সংস্থাগুলিই এই বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বেশি সক্রিয়।” তাঁর মতে, ভারতীয় ওষুধ শিল্প সম্পর্কে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কেউ যদি ভাবেন এই
কৌশলে ভারতকে চাপ দিয়ে আলোচনায় রাজি করানো যাবে তা হলে ভুল ভেবেছেন। |
|
|
|
|
|