|
|
|
|
টুকরো খবর |
উত্তর-পূর্বের পড়ুয়াদের সমস্যা দেখতে কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৬ ফেব্রুয়ারি |
দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বের মানুষদের সমস্যা খতিয়ে দেখার জন্য আজ একটি কমিটি তৈরি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের হস্তক্ষেপে তৈরি এই কমিটি উত্তর-পূর্বের মানুষদের কেন অন্য শহরে বৈষম্য বা হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তারও সুপারিশ করবে কমিটি। কমিটির প্রধান নিযুক্ত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার এম পি বেজবড়ুয়া। কমিটিতে উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই থাকছেন। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার রবিন হিবুকেও কমিটিকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, টানিয়াম হত্যার সুবিচার চেয়ে আজ উত্তর-পূর্বের একটি সাংসদ-দল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারপরেই কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়।
আজ দিল্লি হাইকোর্টে আর একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে দিল্লি পুলিশ। রিপোর্টে বলা হয়, নিদোকে পরপর দু’বার পেটানো হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই এলাকার একটি বাড়ির অবস্থান জানতে দোকানে গিয়েছিলেন টানিয়াম। দোকানদার এবং তার তিন বন্ধু টানিয়ামের চুল নিয়ে ব্যঙ্গ করে। রেগে দোকানটির সামনের একটি কাচ ভেঙে দেন তিনি। অভিযোগ, তখনই দোকানদার তাঁকে মারধর করে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরও পেটানো হয় তাঁকে। আর তাতেই মৃত্যু হয় নিদোর।
পুরনো খবর: নিদো -বিক্ষোভে কেজরিওয়ালও
|
সেনা-নথি উদ্ধার বিহারের জঙ্গি ডেরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
৬ ফেব্রুয়ারি |
সেনাবাহিনীর গোপন নথি মিলল মাওবাদী শিবিরে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মুঙ্গেরে। পুলিশ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে কী ভাবে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়, তারই খুঁটিনাটি লেখা রয়েছে ওই নথিতে। কী ভাবে ওই গোপন তথ্য জঙ্গিদের হাতে গেল, তা নিয়ে সেনাকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ। ডিআইজি সুধাংশু কুমার জানিয়েছেন, “মাওবাদী ডেরা থেকে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নকশা উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।” পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মুঙ্গেরের খড়গপুর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশকর্মীদের দিকে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাবে দুই মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে, জঙ্গিদের ডেরায় তল্লাশি চালানোর সময় সেনাবাহিনীর নির্দেশিকা লেখা বই পাওয়া যায়। তাতেই ছিল বিস্ফোরক তৈরির নিয়মকানুন। জেলার পুলিশ সুপার বরুন সিন্হা বলেন, “এই তথ্য পুলিশের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কী ভাবে ওই নকশা মাওবাদীদের হাতে এল তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” অন্য দিকে, আজ সকালে মুঙ্গেরে মুফস্সিল থানার কানদানি এলাকায় বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৮৯টি পিস্তল, ম্যাগাজিন, দু’শো রাউন্ড গুলি, মোবাইল ফোন এবং ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
অরুণাচলের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ উঠল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
৬ ফেব্রুয়ারি |
ছ’দিন ধরে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে চালানো অর্থনৈতিক অবরোধ শর্তসাপেক্ষে তুলে নিল আসু, গোর্খা ছাত্র সংস্থা, আবসু, সিপিআই এম-এল, আটসা, আসা-সহ বিভিন্ন সংগঠন। ২৯ জানুয়ারি রাতে বিহালি বনাঞ্চলের চাউলধোয়া গ্রামে অরুণাচলের দিক থেকে আসা হানাদারদের গুলিতে বহু গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। অনেকে নিখোঁজ। প্রতিবাদে ৩১ জানুয়ারি থেকে অরুণাচলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু হয়। তার জেরে সে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপণ্য, জ্বালানি সঙ্কট দেখা দেয়। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি নিহতদের পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অসমবাসীকে অবরোধ তুলে নিতে বলে। অবরোধকারীদের যৌথ মঞ্চের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়ে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সীমানা সমস্যার সমাধান, দোষী হানাদারদের সাজা ও সীমানাবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। দাবি পূরণের জন্য রাজ্যকে ২০ দিন সময় দিয়েছে। শোণিতপুরের জেলাশাসক ললিত গগৈ জানান, সংবেদনশীল নাহারজান, বগিজুলি, চাউলধোয়া, রাজঘর, নামঘাট ও ডিকালমুখ সীমানা এলাকায় প্রহরা চৌকি বসবে। নিহতদের পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা ও জখমদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
|
মোদী প্রসঙ্গে মমতাকে তির সিপিএমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৬ ফেব্রুয়ারি |
ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নরেন্দ্র মোদীর নরম সুরকে হাতিয়ার করে এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ভবিষ্যতে বিজেপির সঙ্গে ফের তৃণমূল হাত মেলাতে পারে। গত কাল ব্রিগেডে বামেদের তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার প্রচেষ্টাকে আক্রমণ করলেও মমতার প্রতি মোদীর সুর ছিল নরম। আজ দিল্লিতে ইয়েচুরি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কখনও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটিও শব্দ শোনা যায়নি। ইতিহাস বলছে, মমতা এনডিএ-সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি এনডিএ ছাড়েন। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর তিনি এনডিএ-তে যোগ দেন। যার অর্থ, উনি গুজরাতের দাঙ্গাকেই সমর্থন করেছিলেন।” আজ এবিপি আনন্দে এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও মমতাকে এই প্রসঙ্গ তুলেই নিশানা করেন। মোদীর নরম সুরকে মমতার বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানোই লক্ষ্য সিপিএমের। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, ব্রিগেডের সভাতেই মমতা বলেছেন, তিনি কেন্দ্রে কংগ্রেস বা দাঙ্গার মুখ, কাউকেই চান না। যার অর্থ, কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সমদূরত্ব রেখে তৃণমূল নেত্রী একাই চলতে চান। এ প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেন, “মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান চায়। যখন মেরুকরণের রাজনীতি চলছে, তখন তৃণমূলের অবস্থান কী?” তৃণমূলের একলা চলো বক্তব্য প্রসঙ্গে ইয়েচুরির কটাক্ষ, “ডাক শুনে কেউ না এলে একলাই চলতে হয়!”
ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে নিয়ে বামেদের বিকল্প জোট তৈরির প্রচেষ্টাকে গত কাল আক্রমণ করেন মোদী। আজ ইয়েচুরি বলেন, “১১টি দলের এই ব্লক গঠন নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ। যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন, তাঁর মুখে তৃতীয় ফ্রন্টকে তৃতীয় সারির সঙ্গে তুলনা করে মন্তব্য ভয়ঙ্কর। ওঁর অধীনে রাজনৈতিক বিতর্কটাই তৃতীয় সারিতে চলে যাবে।”
|
চিকিৎসক নেই
সংবাদ সংস্থা • হোসিয়ারপুর
৬ ফেব্রুয়ারি |
হাসপাতালে ভিআইপিদের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন চিকিৎসকরা। তখনই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক মহিলা। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলা এক পুলিশের মা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে ওই পুলিশ দেখেন, স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ চৌধুরির অনুষ্ঠানেই ব্যস্ত চিকিৎসকরা। অনেক চিকিৎসককে অনুরোধ করলেও তাঁরা কেউ মহিলাকে দেখতে যাননি।
|
কয়লা খনিতে ধস, মৃত্যু চার শ্রমিকের |
কয়লা খনির ছাদ ধসে মৃত্যু হল ৪ শ্রমিকের। মেঘালয়ের নাঙালবিবরায় ঘটনা। পুলিশ জানায়, গারে গিট্টিম এলাকার ওই খনিতে আচমকা ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার শ্রমিকের। খনির মালিক পলাতক। ম্যানেজার রেনজি লামা শেরপা ঘটনার অনেক পরে থানায় খবর দেন। উদ্ধারকাজও শুরু করতেও দেরি হয়। খনি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।
|
বিজেপিকে রুখব: লালু |
বিজেপি, কংগ্রেসের পর এ বার ঝাড়খণ্ডে জোরকদমে প্রচার শুরু করতে চান লালু প্রসাদ। বৃহস্পতিবার রাঁচিতে এমনই জানান আরজেডি শীর্ষ নেতা। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড সফরে আসছেন রাহুল গাঁধী। একই দিনে পশুখাদ্য মামলায় জামিন পাওয়া লালুর সিবিআই আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা। আজ বিমানবন্দরে লালু শুধু বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, আরজেডি একসঙ্গে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবে।”
|
বহিষ্কৃত নেতা |
লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়াই-বাছাই শুরু করতে গিয়ে দলের দুই বিধায়ককে বহিস্কার করল বিহার বিজেপি। এই দুই বিধায়ক হলেন পূর্ব চম্পারণের চেরাইয়া বিধানসভার সদস্য অবনীশ কুমার সিংহ এবং সমস্তিপুরের মহিউদ্দীন বিধানসভার সদস্য রানা গঙ্গেশ্বর সিংহ। রাজ্য শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য সি পি ঠাকুর বলেন, “এরা প্রথম থেকেই জেডিইউ-এর লোক। প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে এবং নরেন্দ্র মোদীর সর্ম্পকে নানা কথা বলছিলেন। দলের শৃঙ্খলা না মানার জন্য তাঁদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।”
|
রাহুলের নির্দেশ |
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বেফাঁস কোনও মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকার জন্য কংগ্রেস মুখপাত্রদের নির্দেশ দিলেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস মুখপাত্রদের নিয়ে দিল্লিতে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে কংগ্রেস নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যের অপেক্ষাতেই রয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার মোদীকে চা-ওয়ালা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। রাহুল মণিশঙ্করের নাম মুখে না আনলেও কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। |
|
|
|
|
|