|
|
|
|
গাড়ি শিল্পে আর্থিক ত্রাণ নিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে কথা পটেলের
দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • গ্রেটার নয়ডা
৬ ফেব্রুয়ারি |
ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজের জন্য বারবার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাচ্ছে দেশের গাড়ি শিল্পমহল। এ বার তাদের সুরেই সেই ত্রাণ প্রকল্পের আবশ্যকতা নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল। বৃহস্পতিবার অটো এক্সপো উদ্বোধনের ফাঁকে পটেল জানান, এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলেছেন। শীঘ্রই তাঁর সঙ্গে ফের বৈঠক করবেন তিনি।
২০০৮-এর বিশ্ব জোড়া মন্দায় ভারতের বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসা ধাক্কা খেলেও সঙ্কট সামলেছিল যাত্রী গাড়ি। এ বার সার্বিক ভাবেই গাড়ি বিক্রি কমছে। উল্লেখ্য, দেশের উৎপাদন শিল্পে এই শিল্পের অবদান ২৫%। আর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ৫%।
|
|
মারুতি-সুজুকির নয়া গাড়ি সেলেরিও। ছবি: পিটিআই। |
আর্থিক ত্রাণে সাধারণত উৎপাদন শুল্কে ছাড় দেওয়াই রেওয়াজ। ফলে গাড়ির দাম কমে। সেই সুযোগ নিয়ে অনেকে গ্যারাজে গাড়ি আনার কথা ভাবেন। কিন্তু এ বার গাড়ি শিল্পের দাবি বাড়তি সুবিধা। পটেলও মনে করছেন, শুধু উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে এ বারের পরিস্থিতি সামলানো কঠিন। এ দিন তিনি বলেন, “গাড়ি শিল্পের জন্য আর্থিক সুবিধা দরকার। এই শিল্প শুধু যে আর্থিক বৃদ্ধির জন্যই জরুরি তা নয়, বিপুল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও বটে। কিন্তু এখন তা সঙ্কটে। আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে ভাল কীসে হয় খতিয়ে দেখছি। উৎপাদন শুল্ক ছাড়াও অন্য কী উপায় আছে তা দেখতে হবে। যেমন, পুরনো গাড়ি বদলালে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায় কি না ইত্যাদি। তা হলে নয়া গাড়ির চাহিদা বাড়বে।”
তবে পটেল আশ্বাস দিলেও লোকসভা ভোটের মুখে আদৌ কতটা কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে গাড়ি শিল্পের একাংশের মধ্যে। তাই আর্থিক সুবিধা না-মেলা পর্যন্ত এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না তারা।
নতুন গাড়ি
এ বারে আনকোরা নতুন গাড়ির সংখ্যা কম। কারণ সেই নিম্নমুখী বাজার। এর মধ্যেই আজ মারুতি-সুজুকি তাদের বহুচর্চিত নতুন গাড়ি সেলেরিও-র আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন করল। সাধারণ মডেলের পাশাপাশি একটি ‘অটোম্যাটিক-ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন’ (এটিএম) প্রযুক্তির মডেলও আনা হয়েছে। সাধারণ মডেলের গাড়িতে ক্লাচ থাকলেও, এটিএম প্রযুক্তিতে নেই। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সে গাড়ির গতি বাড়ানো-কমানোর সময়ে গিয়ার নিজে থেকেই বদলাবে। চালককে কিছু করতে হবে না। তবে চালক চাইলে গিয়ার নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কিন্তু ক্লাচ-এর প্রয়োজন হবে না।
সংস্থার এ-স্টার গাড়ি স্বয়ংক্রিয় ছিল। সাধারণটির চেয়ে দাম প্রায় এক লক্ষ টাকা বেশি। কিন্তু সেলেরিও-র এটিএম প্রযুক্তির বাড়তি খরচ ৪০ হাজার টাকার কিছু বেশি। এটা সুজুকির নিজস্ব প্রযুক্তি। নয়া প্রযুক্তি এনে দামের এই নিয়ন্ত্রণকে বড় করে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
গত কাল যে-সব নতুন গাড়ি প্রদর্শিত হয়, সেগুলি হল হোন্ডার মোবিলো, ডাটসনের গো এবং গো প্লাস, হুন্ডাই-এর এক্সেন্ট, টাটা মোটরস-এর জেস্ট ও বোল্ট, মার্সিডিজের এমএল ৫০০ গার্ড, সিএলও ৪৫ এএমজি, জিএলএ ক্লাস, বিএমডব্লিউ-এর মিনি-আই ৮ ইত্যাদি। দেখানো হয়েছে একগুচ্ছ নতুন দু’চাকার গাড়িও।
পুরাতনী ঐতিহ্য
ভিন্টেজ গাড়িগুলির মধ্যে ছিল ১৯৭৮-এর শেভ্রোলে করভেট, পনি-কার হিসেবে পরিচিত ১৯৭৩-এর ফোর্ডের মুস্তাঙ্গ গ্র্যান্ডে, ভারতে আসা ৫টি লিমিটেড এডিশনের অন্যতম পোর্শে-টার্গা ইত্যাদি।
বিকল্প জ্বালানির ভবিষ্যতের গাড়ি
এর মধ্যে দেখানো হয় বৈদ্যুতিন টাটা ম্যাজিক ও টাটা এস, টয়োটা কক্যামরি হাইব্রিড, সুইফট হাইব্রিড ইত্যাদি।
|
পুরনো খবর: ক্রেতাকে শোরুমে ফেরাতে মরিয়া লড়াই এক্সপোয় |
|
|
|
|
|