নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় মানুষজন। দুবরাজপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা দুবরাজপুর শহরের গোশালা মোড় থেকে দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার চলছিল। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা জাতীয় সড়কে ওই কাজ চলাকালীন বাধা দেন বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে পিচ ঢেলে রাস্তা সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া করার কথা। অথচ ‘তালিকা’ অনুযায়ী কাজ করছে না বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা। |
জাতীয় সড়কের এই কাজ নিয়ে ক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র। |
কাউন্সিলর আলাউদ্দিন খান, এলাকাবাসী মহম্মদ ইত্তেকার হোসেন, শেখ সুকুর বলেন, “বাধা দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। রাস্তা শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জায়গায় ৫.৫ মিটার চওড়া রাস্তা নেই। কোথাও কোথাও সেটা ৪ মিটার পর্যন্ত সঙ্কীর্ণ। সেটা মেনে নিলেও দেখা যাচ্ছে।” তাঁদের অভিযোগ, “কিন্তু যেখানে সেটা করা সম্ভব, তা হচ্ছে না। রাস্তার পাশে মাটির উপর পিচ ঢেলে বা রাস্তায় থাকা গর্তে মাটি ভালভাবে পরিষ্কার না করেই পিচ ঢলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যতটা পুরু করে পিচ দেওয়ার কথা, সেটাও করা হচ্ছে না।” কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র অবশ্য মান খারাপ বা নিয়ম না মেনে কাজ করার যুক্তি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “২ কিলোমিটার কাজ শেষ। সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওঁরা বিষয়টি বুঝতে চাইছেন না। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।” পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “কাজের বরাদ্দ সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও স্থানীয় মানুষকে কাজ দেখে করিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। তাই আপোসের প্রশ্ন নেই। তবে কাজ বন্ধ করে দেওয়াও সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যা মেটাতে আজ, শুক্রবার সকলে বসে আলোচনা করা হবে। শীঘ্রই যাতে কাজ শুরু করা যায় সেটা দেখব।” |