মোটর বাইক আরোহী এক যুবককে মারধর করার অভিযোগে পুলিশের উপরে হামলা, সিভিক পুলিশের কর্মীদের পোশাক ছেঁড়া থেকে রাজ্য সড়ক এবং ফাঁড়ি ঘেরাওয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে মালদহের রতুয়ায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সামসি ফাঁড়ির সামনে টহলদারির সময় এক বাইক আরোহীকে পুলিশ থামতে বললেও আরোহী যুবক কিছুটা এগিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তার পরেই পুলিশ মোটরবাইক আরোহী যুবককে মারধর করে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, আবজাল মিয়াঁ নামে বছর বাইশের যুবককে থামতে বললেও, তিনি বাইক থামাননি। তাই তাঁকে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে সর্তক করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ কর্মীরা যুবককে মারধর করে। পুলিশের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ভুল বুঝে হামলা চালায়। তাতে তিন পুলিশ কর্মী আহত হন। আরও পুলিশকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের তরফে হামলার ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের হলেও যদিও বিকেল পর্য়ন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
ফাঁড়ি সংলগ্ন মোতিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা গ্যারাজকর্মী আবজাল মিয়াঁকে মারধরের প্রতিবাদে বাসিন্দার একাংশ সামসি-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু করে। ওই সময় পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ ইট ছুড়লে আহত হন তিন পুলিশকর্মী। দুই সিভিক কর্মীর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি এক জনের তিন হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিও চালায় বলে জানা গিয়েছে। এর পরে যুবককে মারধরে অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ শোভন কর্মকারের বদলি ও যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ। রাত ১২টায় আবজালকে ছাড়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আবজাল মিয়াঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। থামানোর জন্য আমি মোটর বাইক পাশে দাঁড় করাচ্ছিলাম। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পেটাতে শুরু করে পুলিশ। পরে টেনে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও, কথাই পুলিশ শোনেনি।” রতুয়ার সিআই নিতাই ঘোষ এ দিন বলেন, “ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। আর পুলিশ যা করেছে তা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যুবককে ধরা হয়নি, জেরার জন্য থানায় আনা হয়।” |