ফর্ম না পেয়ে মন্ত্রীর গাড়ি আটকে ক্ষোভ
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফর্ম না পেয়ে ক্ষুব্ধ আবেদনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের পযর্টনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। বুধবার সকাল ১০টা থেকে ইংরেজবাজার থানার রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকার ডাকঘর থেকে কমিশনের ফর্ম বিলির কথা থাকলেও, নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরেও তা বিলি শুরু না হওয়ায়, লাইনে দাঁড়ানো ক্ষুদ্ধ যুবক যুবতীরা পথ অবরোধ শুরু করেন। সে সময় একটি অনুষ্ঠান সেরে ওই এলাকা দিয়ে ফেরার সময়ে অবরোধে আটকে যায় মন্ত্রীর গাড়ি। মন্ত্রীকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এর পরে নিজে উদ্যোগী হয়ে ফর্ম বিলি চালু করেন মন্ত্রী।
এ দিন ভোর পাঁচটা থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ডাকঘরে পাঁচশোর বেশি ছাত্রছাত্রী লাইন দেন। ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ-অবরোধে এলাকায় যানজট তীব্র আকার নেয়। মহিলা কলেজে একটি অনুষ্ঠান সেরে নিজের অফিসে ফেরার পথে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে আটকে পড়েন রাজ্যের কৃষ্ণেন্দুবাবু। বিক্ষোভের জেরে গাড়ি থেকে নেমে পোস্ট অফিস সুপারিন্টেন্ডেন্টকে তলব করেন তিনি। এর পরে সওয়া একটা নাগাদ ফর্ম বিলি করা শুরু হয়। অবরোধও উঠে যায়। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “ক্ষোভ স্বাভাবিক। ছাত্রছাত্রীরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেই কারণেই আমি শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করে ফর্ম বিলির সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।”

বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী। মালদহে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তেলা ছবি।
স্কুল সার্ভিসের ফর্ম বিলি শুরু হতে মালদহের প্রধান ডাকঘর-সহ সমস্ত ডাকঘর থেকে ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। মালঞ্চপল্লীর সোমক দেবের অভিযোগ, “ভোর পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ে ফর্ম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি।” মালদহ জেলা প্রধান ডাকঘরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অমিত লাহিড়ি এ দিন বলেন, “রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের পোস্ট মাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে ফর্ম বিলি কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। পরে প্রধান ডাকঘর থেকে এক জন অফিসার ও কর্মীকে পাঠিয়ে ফর্ম বিলি শুরু হয়।
অন্য দিকে, স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার আবেদনপত্র না পেয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ইসলামপুরে। দুপুরে ইসলামপুরে ও চাকুলিয়ার কানকি এলাকায় বিক্ষোভ হয়। অভিযোগ ফর্ম তুলতে পোস্ট অফিসে গিয়ে ফর্ম নেই বলে জানা যায়। কবে ফর্ম পাওয়া যাবে তাও জানানো হয়নি। এর পরেই পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইসলামপুরের পোস্ট অফিসের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভ দেখান আবেদনকারীরা। মহকুমাশাসকের দ্বারস্থও হয় বিক্ষোভকারীরা। মহকুমাশাসক নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের তরফ থেকে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিন বর্ধিত করারও আশ্বাস মিলেছে। ডাকধর সূত্রে এ দিন জানানো হয়েছে, আবেদনকারীর সংখ্যার থেকে ফর্মের সংখ্যা অনেক কম থাকায় এ দিন তা বিলির ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইসলামপুরের ডাক বিভাগ।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.