একাংশ রাজনৈতিক নেতার মদতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জায়গা দখল হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় লাগোয়া উজানুমৌজায় এসজেডিএ’র অনেকটা জায়গা রয়েছে। সেখানে কর্তৃপক্ষের তরফে সাইন বোর্ডও লাগিয়ে রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সুকান্তপল্লি এলাকায় পঞ্চনই নদীর ধারে থাকা এসজেডিএ’র ওই জমির অনেকটাই দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, দখলকারিদের অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। তা ছাড়া কংগ্রেস এবং অন্য দলের সমর্থক কিছু বাসিন্দা রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাসিন্দাদের অনেকের বাল্মীকি আবাসন প্রকল্পে পাওয়া ঘরও রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মদতে জায়গা দখল করতে চাইছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “তৃণমূল করে বলে কোনও ব্যাপার নেই। সরকারি জায়গা কেউ দখল করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
এই জমি নিয়েই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র। |
একই রকম ভাবে ফুলবড়ি-১ এবং ফুলবাড়ি-২ নম্বর এলাকায় এসজেজিএ’র জমি কেউ বা কারা দখল করতে তৎপর হয় বলেও অভিযোগ। গত দু দিন সেই সমস্ত এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে দখল মুক্তি করার ব্যবস্থা করেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। তার পরেও বুধবার ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনাসের সামনে ক্যানালের ধারে পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা দখল করতে কিছু বাসিন্দা তৎপর হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের হঠিয়ে দেয়। তা নিয়ে গোলমালের পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের একাংশ জানান, তাদের দলের কর্মী-সমর্থক কেউ এই জমি দখলের সঙ্গে যুক্ত বলে তাদের জানা নেই।
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানান, তিনি পদে থাকার সময় উজানু মৌজায় অনেকটা জমি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে এসজেডিএ। তাঁর অভিযোগ, এখন শাসক দলের লোকজন তা দখল করছে। এটা চলতে পারে না।” নদীর চর দখল করার প্রবণতা নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবশপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শহরের ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দার চর এক সময় দখল হয়েছে। নৌকাঘাট এলাকা নদীর চরের একটা বড় অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে। জোড়াপানি নদীর খাতের মধ্যে অনেক জায়গায় বাসিন্দারা দখল করে চাষ আবাদ করছেন। উজানু মৌজাতেও নদীর জায়গায় দখল করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কঠোর হাতে ঠেকানো দরকার।” |