এক নজরে মোদী |
|
যুগে যুগে আমি তোমারই |
মোদী তখনও পৌঁছননি। মঞ্চে বাপ্পি লাহিড়ি উঠে কয়েকটা কথা বলেই গান ধরলেন, চিরদিনই তুমি যে আমার। একই গান কংগ্রেসের জন্য গেয়েছিলেন আগের বার ভোটে। এক জন বলেন, মঞ্চে পি সি সরকারও আছেন। ভাগ্যে থাকলে একটু ম্যাজিকও দেখা যাবে। পিসি সরকার ম্যাজিক দেখাননি। তবে মোদী যখন দু’হাতে লাড্ডুর কথা বলছেন, তখন বাপ্পির একটা গানের কলিই মনে পড়ল অনেকের। ‘গুরু’ ছবির গান, “এক লো এক মুফত!”
|
কোট কই |
জুতো থেকে টেডি বিয়ার সবই বিকিয়েছে ব্রিগেডে। শাড়িও। বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে এসেছিলেন সৌমেন বিশ্বাস। স্ত্রীকে শাড়ি কিনে দিয়েছেন। মেয়েকে টেডি বিয়ার। ইচ্ছা ছিল নিজের জন্য কম দামে কোট কেনার। এক জনকে জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন ‘মরা সাহেবের কোট’-এর কথা বলছেন? চলে যান ধর্মতলার ফুটপাথে। কিন্তু বাস ছেড়ে দেবে তো! তাই কোট না কিনেই ফিরতে হল।
|
হিট সময় |
দু’সপ্তাহের মধ্যে তিনটে ব্রিগেড। চা-ওয়ালা মনোজ দাসের পোয়াবারো। জানালেন, মমতার ব্রিগেডে দারুণ বিক্রিবাট্টা হয়েছিল। বড় কেটলির কুড়ি কেটলি চা শেষ হয়েছিল। মোদীর ব্রিগেডে অতটা না হলেও প্রায় বারো কেটলি কাবার। মনোজের আশা, আগামী রবিবারের ব্রিগেডও হতাশ করবে না। অভিজ্ঞতায় দেখেছেন বামফ্রন্টের ব্রিগেডে বেশি বিক্রি হয় লাল চা। তাই সেদিন শুধু লিকার চা-ই রাখবেন।
|
মোদীর দাম |
১০ থেকে ১৫০। নানা দরে বিকোলেন তিনি। ২৫ টাকায় মোদী ছাপ চাবির রিং। ১৫০-এ বাঁধানো ছবি। দোকানে-দোকানে ছিলেন সুভাষচন্দ্র, বিবেকানন্দ, বাজপেয়ী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আডবাণী মায় বরুণ গাঁধীও। তবে সবাইকে ছাপিয়ে চাহিদা মোদীরই। ২০ টাকা দাম মোদীর পোস্টারের। আর মোদীর মুখোশের দাম ১০। তবে মুখোশে তিনি একাই।
|
পাঁপড় ভাজা |
ঠিক আড়াইটেয় গুড়গুড় গর্জন। এসে গিয়েছে মোদীর হেলিকপ্টার। দাঁড়ানো জনতা মোবাইলে ছবি তুলতে লাগল। উৎসাহীরা হাত নাড়তে থাকলেন। শ্যামনগর থেকে পাঁপড় বেচতে এসেছিলেন রতন দাস। তিনি দুই হাতে পাঁপড় নাড়তে থাকলেন। এক যুবকের মন্তব্য, মোদী মাঠে নামলে তুমি কি তাকে পাঁপড় ভাজা খাওয়াবে?
|
ত্রিশূলে মানা |
হাতে সিঁদুর-লেপা ত্রিশূল। মাথায় ফেট্টি, রুদ্রাক্ষের মালা। এক মুখ দাঁড়ি-গোঁফ নিয়ে দাঁড়ানো গণেশ হালদারের দাবি, ‘‘বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় অযোধ্যায় গিয়েছিলাম।” তা এত দূরে দাঁড়িয়ে কেন! ত্রিশূল হাতে পুলিশ সভাস্থলের কাছে যেতে দেয়নি বুঝি? চোখেমুখে অস্বস্তি চাপতে পারলেন না গণেশ। শুধু বললেন, “আমায় কে আটকাবে!”
|
দর্শন-বিভ্রাট |
মোদীর সভা দেখাতে মাঠে ছিল এক ডজন এলইডি টিভি। দুপুর থেকে তাতে আটকে ছিল কয়েক হাজার চোখও। কিন্তু মোদীর বক্তৃতা চলার সময়ই বিগড়ে গেল সব ক’টা। কানে ভেসে এল হতাশ উক্তি, “এখনই বিগড়োতে হল!”
|
অটলজি |
চড়া রোদ। দর্শকদের তাই আশ্রয় গাছতলা। অটলবিহারীর বড় একটা পোস্টার মাথায় ধরে রোদে ঘুরছিলেন এক যুবক। দেখে গাছতলার এক প্রৌঢ় বলে উঠলেন, “দেখেছেন বিজেপিতে এখনও মাথার ওপরে অটলজি!” |
|