শ্মশানের বেহাল পরিকাঠামোর জেরে নাকাল বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মথুরাপুর ২ ব্লকে রায়দিঘি পঞ্চায়েতের টাঙ্গিপাড়া শ্মশানের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। মথুরাপুর-২ এর বিডিও ত্রিদিব সর বলেন, “ওই শ্মশানের সংস্কার দরকার। প্রশাসনিক অনুমোদন পেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
টাঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে নেচার খালপাড়ের ওই শ্মশানটি বহু বছর ধরে এলাকার মানুষের শব দাহ করার জন্য একমাত্র জায়গা। কিন্তু দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোই নেই সেখানে। বৈদ্যু্যতিন চুল্লি তো দূরের কথা, বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে শব দাহ করার জায়গায় কোনও ছাউনির ব্যবস্থা নেই। বর্ষার সময় বা বৃষ্টি হলে চিতার উপর পলিথিন ধরে রাখতে হয় শবযাত্রীদের। শবযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য যাত্রীশেড, শৌচাগার, আলো, পানীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। অথচ এলাকার ২৩ নম্বর লাট, মুখার্জির চক, ভান্ডারিচক, সর্দারপাড়া, কোম্পানির ঠেক-সহ আট থেকে দশটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে শবদাহের জন্য এই একটি শ্মশানই ভরসা। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, খোলামেলা শ্মশানে কোনও ছাউনি না থাকায় কি গ্রীষ্ম, কি বর্ষা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয় শবযাত্রীদের। প্রায় দু’কিলোমিটার দূর থেকে জল নিয়ে আসতে হয় তাঁদের। বৃষ্টি এলে চিতার উপর পলিথিন ধরে থাকতে হয়।
এ হেন পরিস্থিতিতে অনেকেই এখন ঝুঁকি নিয়ে ওই শ্মশানে শবদাহ করাতে যান না। ফলে শহ দাহ করতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চক্রতীর্থ বা ২৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের শ্মশানে যেতে হয়। তাতে সময় ও অর্থ দু’টোই বেশি লাগে।
শ্মশানের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পীযূষ বৈরাগী বলেন, “এ সব সমস্যার বিষয়ে জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |