|
|
|
|
১২টি নতুন প্রাথমিক স্কুল পূর্বে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়ির কাছে স্কুল চাই। প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে প্রতিটি শিশুর বাড়ির কাছে স্কুল গড়ার উপর জোর দিচ্ছে সর্বশিক্ষা মিশন। তাই এ বার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়হীন এলাকায় ১২টি নতুন প্রাথমিক স্কুল চালু করতে উদ্যোগী হল জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ভবন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। ওই বিদ্যালগুলির সরকারি অনুমোদনের জন্য রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে প্রস্তাব পাঠাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, “জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলবিহীন এলাকায় নতুন ১২টি প্রাথমিক স্কুল তৈরি হবে। প্রস্তাবিত ওই সব স্কুল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া গিয়েছে। এই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।”
জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই অথবা বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল সেখানে কয়েক বছর আগেই শিশুশিক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে ৩২৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৪৪৫টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও জেলায় প্রায় ৬০০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। তবে জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন ব্লকের কিছু এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। বাড়ির কাছে স্কুল না থাকায় ওইসব এলাকার শিশুদের প্রাথমিকের পাঠ নিতে অপেক্ষাকৃত দূরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে স্কুলে যেতে শিশুরা অসুবিধায় পড়ছে। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সর্বশিক্ষা মিশনের সমীক্ষা অনুযায়ী জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়হীন ১২টি এলাকাকে চিহ্নিত করে প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঠিক হয়, মহিষাদল, সুতাহাট, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর এলাকায় এই ১২টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জমিও পাওয়া গিয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরির জন্য স্থানীয় এলাকায় সরকারি খাসজমি পাওয়া গেলে সেখানেই বিদ্যালয় ভবন তৈরি করা হবে। আর সরকারি জমি পাওয়া না গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দান করা জমিতে বিদ্যালয় গড়তে হবে। এক্ষেত্রে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি জমি পাওয়া গিয়েছে। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের দান করা জমিতে বাকি ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি হবে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের অনুমোদন পেলেই দ্রুত ওইসব প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হবে।
জেলা সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় কয়েকবছর আগেই এ রকম ১১টি এলাকাকে চিহ্নিত করে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবিত ওই বিদ্যালয়গুলির মধ্যে চলতি বছরের শুরুতেই পাঁশকুড়ার কনকপুর উত্তরপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাকি ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হবে বলে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন। সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক সাহায্যে এছাড়াও জেলার নন্দকুমার ব্লকের চকশিমুলিয়া কামাখ্যা বিদ্যাপীঠে স্কুলছুট ও পথশিশুদের জন্য আবাসিক ছাত্রাবাস চালু করা হচ্ছে। ওই ছাত্রাবাসে স্কুলছুট ও পথশিশুদের থাকা, খাওয়া থেকে পড়াশোনার সমস্ত খরচ দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন জানান, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ওই আবাসিক ছাত্রাবাস তৈরির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|