|
|
|
|
পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণে কর্মশালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জাতীয় গ্রামীণ পানীয় জল কর্মসূচি এবং নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পের কাজ যথাযথ ভাবে রূপায়ণের জন্য এ বার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল। বুধবার ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি শুরু হল ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে। তিনদিনের ওই কর্মশালায় যোগ দিয়েছেন ঝাড়গ্রাম মহকুমার ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। এ দিন কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ জারিনা ইয়াসমিন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ সেন প্রমুখ।
|
ঝাড়গ্রামে কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। |
উত্তরাদেবী জানান, রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর এবং জল ও স্বাস্থ্যবিধান সহায়ক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি তিন দফায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৪টি মহকুমার মোট ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মী এবং পঞ্চায়েতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও সঞ্চালকদের ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খড়্গপুর, ঘাটাল ও মেদিনীপুর সদর বাকি এই তিনটি মহকুমার প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলি হবে মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে। ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর মহকুমা এবং ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি একযোগে ঘাটাল ও মেদিনীপুর সদর মহকুমার প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি হবে।
এ দিন ঝাড়গ্রামে ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করে সভাধিপতি উত্তরাদেবী বলেন, “জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে পানীয় জল ও শৌচাগার সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি যথাযথ রূপায়ণ করতে গেলে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও কর্মীদের সম্যক ধারণা থাকা দরকার। সেই কারণেই এই উদ্যোগ। একজন প্রধান, পঞ্চায়েত কর্মী ও সঞ্চালক নিজে বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুধাবন করতে পারলে, এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি উন্নয়ন-কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী জানান, প্রধান ও উপ প্রধান-সহ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পাঁচজন করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কর্মশালায় অডিও-ভিসু্যুয়াল ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু হল, জলের গুণমান পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি, রোগ সংক্রমণ ও তার সরল সমাধান, কঠিন ও তরল বর্জ্যের সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা, নিরাপদ জল ও জলের উৎস সম্পর্কে ধারণা ইত্যাদি। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উৎসাহিত করার জন্য ‘নির্মল গ্রাম পুরস্কার’ পাওয়ার মাপকাঠি কী তা নিয়েও কর্মশালায় অবহিত করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|