আইসিসি-র মহাগুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে ‘তিন বনাম তিন’ মহাযুদ্ধ নিয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। এবং বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর বোর্ড নিজেদের স্টান্সে অনড়।
ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই ‘বিগ থ্রি’-র প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলে ভারত বিশ্ব ক্রিকেট প্রশাসনের সিংহাসনের অন্যতম মালিক হয়ে উঠবে। যা নিয়ে সরব পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা বোর্ড। পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এ দিন শ্রীলঙ্কা বোর্ডও সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল, তারা ‘বিগ থ্রি’-র প্রস্তাব সমর্থন করছে না।
শ্রীনি অবশ্য অবিচল। এবং আইসিসি-কে দেওয়া তাঁদের প্রস্তাব নিয়ে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা, “ক্রিকেট-নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভারতীয় বোর্ড খুব খুশি। নতুন পরিকাঠামোর আইসিসি-কে আমরা স্বাগত জানাব। এতে ক্রিকেটেরই লাভ হবে। বাণিজ্যিক ভাবে শক্তিশালী ভারত বিশ্বক্রিকেটের জন্য খুব ভাল,” এ দিন এক ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন শ্রীনিবাসন।
ক্রিকেট সমালোচকদের একাংশ মনে করে, আইসিসি-র প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় বদল আনাটা ভারতীয় বোর্ডের সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠার পরিকল্পনার একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যে মনোভাবের সঙ্গে একমত নন শ্রীনি। তিনি জানিয়েছেন, গত বার আইসিসি-র লভ্যাংশ ভাগ নিয়ে যে ‘মেম্বার্স পার্টিসিপেশন’ চুক্তি (এমপিএ) সই করা হয়েছিল, সেটা ভারতের পক্ষে ন্যায্য ছিল না। তবে কেন ন্যায্য ছিল না, তা খোলসা করে বলেননি শ্রীনি। তাঁর কথায়, “আমি জানি না ওই চুক্তি কী ভাবে সই করা হয়েছিল। আমি থাকলে ওই এমপিএ সই করতাম না। ওটায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা তাই পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম যে, এই ধরনের এমপিএ আমরা সই করব না।” সঙ্গে সংযোজন, “কমিটির বাকি সদস্যরা বুঝতে পেরেছিল, ভারতের উদ্বেগটা যথেষ্ট বৈধ। সেখান থেকেই আলোচনা শুরু হয়। যে আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো উঠে আসে।”
ক্রিকেটমহলের সাধারণ ধারণা যে, ‘বিগ থ্রি’-র পেশ করা প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলে ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া আইসিসি-র সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বশক্তিশালী হয়ে যাবে। তবে শ্রীনির আশ্বাস, তাঁদের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হলে বাকি দেশের বোর্ডের মুখ মোটেও বন্ধ হয়ে যাবে না। তিনি বলছেন, “গত ৯ জানুয়ারি দুবাইয়ের বৈঠকে আমি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো পেশ করেছিলাম। কাউকে তো একটা আলোচনার জন্য খসড়া তৈরি করতে হবে।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “তাই দশের মধ্যে তিন বোর্ড একসঙ্গে বসে একটা খসড়া তৈরি করলাম। বাকিরা চাইলে সেটা পড়ে তাতে বদলের প্রস্তাব আনতেই পারে। সত্যি বলতে কী, ইতিমধ্যে অনেক বদল করাও হয়েছে। বেশ কিছু বিষয় প্রস্তাব থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কিছু বদল হয়েছে।”
|