দু’জনেই ক্রিকেট ‘ফ্যানাটিক’। দুই ভিন্ন সময়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন দু’জনই। প্রথম জন যদি ব্যাট হাতে বাংলার গর্ব বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন তা হলে দ্বিতীয় জন সেটাই করেছেন বল হাতে! প্রথম জন স্বাধীনতার পর বাংলার একমাত্র রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর দ্বিতীয় জন লক্ষ্মীরতন শুক্লর দলের হয়ে রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেতে এখনও লড়ছেন।
প্রথম জন অরুণলাল এ মরসুমে বাংলার রঞ্জি অভিযান শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে এসে তাতিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন গোটা দলকে। যা দ্বিতীয় জন অশোক দিন্দার কাছে ‘মোক্ষম ভোকাল টনিক’। বাংলার এই ‘স্পিডস্টার’-এর আক্ষেপ, “সেমিফাইনালের গণ্ডি টপকানো গেল না এ বারও!”
মহারাষ্ট্রের কাছে সেই রঞ্জি সেমিফাইনাল হারের পর বুধবারই ফের মুখোমুখি হলেন, বাংলা ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের এই দুই প্রতিনিধি। এখানেও দিন্দার মোটিভেটর সেই অরুণলালই। দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে আয়োজিত ক্রীড়া-পর্যটন সংস্থা, ‘ফ্যানাটিক’-এর এক অনুষ্ঠানে দিন্দাকে দেখতে পেয়েই প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক অরুণলালের অনুপ্রেরণা মেশানো আবদার, “দারুণ বল করেছ। এ বার হয়নি তো কী হয়েছে? সামনের বার হবেই। আর জাতীয় দলে ফিরতে প্রতি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নাও।” |
ক্রিকেট ছাড়াও আলোচনা চলল দু’জনের ভ্রমণ ইতিহাস নিয়েও। অরুণলাল শোনাচ্ছিলেন বিরাশির স্পেন বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে বসে দেখার অভিজ্ঞতা। দিন কয়েকের মধ্যেই ইরানি ট্রফির ম্যাচ খেলতে যাবেন দিন্দা। তাই বিনিময় হল ছোটখাটো টিপসও। চারপাশে তখন ক্রিকেট-পর্যটনের ‘হুজ হু’ রা। দীপ দাশগুপ্ত থেকে অর্চনা বিজয় কে না নেই। সঙ্গে গৌতম ভিমানির কুইজ। জয়ীরা পেলেন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলা আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের টিকিট। এই সংস্থা দুটো ক্রিকেট বিশ্বকাপেই ক্রীড়া-পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
শেষ বেলায় দিন্দাকে আবার সেই অরুণের টিপস, “মন দিয়ে খেলো। ২০১৫ বিশ্বকাপে তোমাকে দেখতে চাই।” চোয়াল শক্ত করে দিন্দাও বলে গেলেন, “ওটাই তো পাখির চোখ।” |