সিরিজের প্রথম টেস্টে নামার আগের দিন নিউজিল্যান্ডে থাকা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কিছুটা হলেও ‘হোমসিক’ হয়ে পড়ছেন!
কারণটা অবশ্য সম্পূর্ণ সিরিজ বহির্ভূত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতে, তিনি এবং তাঁর টিম ইন্ডিয়া গতকাল নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে সচিন তেন্ডুলকরের ‘ভারতরত্ন’ পাওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তটা মিস করেছেন। “এটা একজন আদর্শ রোল মডেলের একেবারে যোগ্য সম্মান” মন্তব্য করে ধোনি এ দিন আরও যোগ করেন, “দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সচিনের ‘ভারতরত্ন’ সম্মান পাওয়ার খবরটা দুর্দান্ত। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্রীড়াবিদ দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেল। যে জন্য এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় আমরা একটু হলেও দিল্লিকে গতকাল মিস করেছি। এর চেয়ে বড় নাগরিক সম্মান পাওয়া কোনও ভারতীয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। সচিন এই সম্মানের সম্পূর্ণ যোগ্য। এ ব্যাপারে মনে হয় বিশেষ কেউ দ্বিমত হবে না। শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও সচিন যে ভাবে নিজেকে সামলেছে, যে পরিমাণ চাপ নিয়ে প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত টানা আড়াই দশক অসাধারণ পারফরম্যান্স করে গিয়েছে, সেটা দুর্দান্ত।” |
বুধবার ভারতীয় সময় ভোররাত থেকে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে হয়তো সচিনোচিত পারফরম্যান্স তাঁর দলের থেকে আশা না করলেও, ধোনি অন্তত ভাল ক্রিকেটের আশা করছেন। আর সতীর্থদের থেকে চাইছেন, ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ সামনে এলে তার যেন ফায়দা তোলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। “যদি শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দিকে তাকানো যায়, দেখবেন আমরা স্রেফ একটা সেশন, মাত্র আড়াই ঘণ্টার খারাপ ক্রিকেট খেলার গুনাগার দিয়ে টেস্ট সিরিজটা হেরেছিলাম। বাকি সব সেশনে তুলনামূলক ভাবে ভাল ক্রিকেট খেলা সত্ত্বেও। তা ছাড়া, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণগুলোর সুযোগ আমরা নিতে পারিনি। এখানে আরেকটা নতুন টেস্ট সিরিজে নামার আগে শুধু এই জায়গাটা নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত। ম্যাচে যদি জাঁকিয়ে বসার সুযোগ আসে সেটার পুরো ফায়দা তোলা দরকার। যেখান থেকে আমরা শেষমেশ জিতে যেন মাঠ ছাড়তে পারি,” বলেন ধোনি।
কিউয়িদের দেশে ওয়ান ডে সিরিজ ০-৪ হেরে ভারতকে টেস্ট সিরিজে নামতে হলেও দলনায়কের দাবি, সেই ‘হতাশা’ পিছনে ফেলে এসেছেন। টেস্ট সিরিজে তৈরি হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় তাঁর দল মাঝের এ ক’টা দিনে পেয়েছে। “ওয়ান ডে সিরিজের ব্যর্থতার পর নিজেদের ছন্দে ফেরার জন্য আমরা প্রচুর সময় পেয়েছি। একটা প্র্যাকটিস ম্যাচও পেয়েছি। ওয়ান ডে দলের থেকে তেমন বেশি পরিবর্তন ঘটেনি টেস্ট দলে। ফলে আমাদের ছেলেদের ইডেন পার্কের উইকেট ভাল ভাবে দেখা আছে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখানে কী ভাবে খেলব! তবে টেস্ট ক্রিকেটের সুবিধে হল, শর্ট বল কখন খেলব আর কখন ছেড়ে দেব সেটা পছন্দ করার সময় পাওয়া যায়। ওয়ান ডে-র মতো তো আর নির্দিষ্ট ওভারের ব্যাপার নেই! আর উইকেটে ঘাস থাকলেই সেটা ভয়ের নয়। আসল হল, পিচ কতটা প্রাণবন্ত বা কতটা আর্দ্র! স্ট্রোক প্লে-র সিদ্ধান্ত পিচের এই দুটো চরিত্র বুঝেই নিতে হয়।”
|